Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সোডা অ্যাশের কনটেইনারে এবার মিলল নিষিদ্ধ ‘ঘন চিনি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ অক্টোবর ২০২৩ ২১:১০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সোডা অ্যাশের আমদানির ঘোষণা দিয়ে অন্যান্য পণ্য আনা তিনটি কনটেইনার জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসব কনটেইনার থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘন চিনি, গুঁড়া দুধ, স্যাকারিন ও সাইট্রিক অ্যাসিড জব্দ করা হয়।

চট্টগ্রামের সদরঘাটের আমদানিকারক এম এস আরাফাত ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠানটি তিন কনটেইনারে এসব পণ্য আমদানি করে। এই চালানে মিথ্যা ঘোষণায় প্রায় এক কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্জ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক। এ নিয়ে এক মাসের ব্যবধানে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ১১ কনটেইনার পণ্য জব্দ করল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ইপিজেডের বেসরকারি ডিপো আইসিডি ওএনএস কনটেইনার সার্ভিস লিমিটেডে খালাসের জন্য ওই চালানের তিনটি কনটেইনার খুলে পরীক্ষা করেন কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। এরপর কায়িক পরীক্ষা ও দাফতরিক প্রক্রিয়া শেষে শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি নির্ধারণ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকার প্রতিষ্ঠান এম এস আরাফাত ট্রেডিং চায়না থেকে সোডা অ্যাশের আমদানির ঘোষণা দেন। এমভিএসআই কুইমিং জাহাজে তিনটি কনটেইনারে করে এ সব পণ্য আসে। সেগুলো খালাস করার জন্য চট্টগ্রাম ইপিজেডের বেসরকারি ডিপো আইসিডি ওএনএস কনটেইনার সার্ভিস লিমিটেডে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্দেহ হওয়ায় কারণে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তিন কনটেইনারে থাকা পণ্যগুলোর চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমসের এআইআর শাখা।

সেখানে সব বস্তায় সোডা অ্যাাশ লাইট লেখা পাওয়া যায়। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় এর মধ্যে মাত্র এক মেট্রিক টন সোডা অ্যাশ পাওয়া যায়। বাকি বস্তা গুলো কেটে ৬০ মেট্রিক টন বিভিন্ন ফুড গ্রেডের পণ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ ঘন চিনি, গুঁড়া দুধ, স্যাকারিন ও সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাইফুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওই চালানে ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য আমদানির বিষয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। আমাদের নজরদারির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তারা পণ্যগুলো খালাস করেনি এবং কাস্টমস অনলাইন সিস্টেমে কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। পরে কাস্টমস কর্মকর্তারা কায়িক পরীক্ষা করলে সেখানে সোডা অ্যাাশের চেয়ে বেশি অন্য পণ্য পাওয়া যায়। এর মধ্য দিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর ও ১৯ অক্টোবর ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকার প্রতিষ্ঠান জি ওয়াই ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের চায়না থেকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট আমদানির নামে মিথ্যা ঘোষণায় আনা চার কনটেইনার পণ্য জব্দ করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস। ওই চালানটিতে ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণার নামে ডেক্সট্রোজ, গুঁড়া দুধ, কফি মেট ও মেনথল আমদানি করে। যার মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়।

সারাবাংলা/আইসি/একে

ঘন চিনি টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর