অনুমোদন পেল ৮ ডিজিটাল ব্যাংক
২২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২৫
ঢাকা: প্রথমবারের মতো দেশে আট ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে দু’টি ডিজিটাল ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক দু’টি হলো- নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি ও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি। এ ছাড়া আরও ছয়টি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নীতিগত অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো- ডিজিটেন, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজিট-অল, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, নর্থইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক এবং জাপান বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক।
রোববার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিন রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আটটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পেয়েছে। আর বাকি ছয়টি ব্যাংকের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নগদ টাকার ব্যবহার কমানোর অংশ হিসেবে আটটি ডিজিটাল ব্যাংককে কার্যক্রম পরিচালনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি লেনদেনকে সহজ করতে ডিজিটাল ব্যাংক চালু হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সময়ে দেশি-বিদেশি ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিয়েছে। আবেদন করেছে সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর, তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী উদ্যোগ, এমনকি ওষুধ কোম্পানি ও ঢেউশিট উৎপাদনকারী কোম্পানিও।
জানা গেছে, ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান একটি কার্যালয় থাকবে। কিন্তু সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম-সিআরএম থাকবে না। এটি হবে অ্যাপ-নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে।
নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে প্রথাগত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগে ৫০০ কোটি টাকা। এ ব্যাংকে প্রত্যেক স্পনসরের সর্বনিম্ন শেয়ারহোল্ডিং হবে ৫০ লাখ টাকা (সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা ১২.৫ কোটি টাকা)।
পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারী একটি স্পনসরকে যৌথভাবে ক্যাপিটাল মেইনটেন্যান্স চুক্তি (সিএমএ) সেই করতে হবে। তবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো সময়ে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপি হয়েছেন- এমন কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের স্পনসর হিসেবে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। একইভাবে ঋণখেলাপি অবস্থা বা তার বিরুদ্ধে কোনো আদালত ট্রাইব্যুনালে কোনো নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায়ের অপেক্ষায় থাকলেও তিনি স্পনসর হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম