ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশনে সদ্যপ্রয়াত তিন সংসদ সদস্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়াত সংসদ সদস্যরা হলেন- লক্ষীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাাজাহান কামাল, পটুয়াখালী-১ আসনের শাজাহান মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মো. আবদুস সাত্তার ভূঞা।
রোববার (২২ অক্টোবর) শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা দেশের উন্নয়নে প্রয়াত সংসদ সদস্যদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এদিন বিকেল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে শোক প্রস্তাবটি আনা হয়। এর পর শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একে একে আমাদের অনেক সদস্যকে হারিয়েছি। কোভিডের সময় তো আরও বেশি। মাত্র কয়েকদিনে এই চলমান সংসদে তিন তিন জন সদস্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও তাদের বয়স হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে বিশেষ করে শাজাহান কামাল সাহেব ও শাজাহান সাহেবের যথেষ্ঠ অবদান রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আমরা যারা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছি, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছি, জেল-জুলুম অত্যাচার সহ্য করা, নির্যাতন ভোগ করা এবং মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তারা সবসময় সক্রিয় ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ জন্মালে একদিন মরে যেতে হবে- এটা আমরা জানি। তার পরও সংসদ চলাকালে এই শেষ বেলায় এসে এভাবে একে একে আমাদের ছেড়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ- এটা আমাদের জন্য সত্যি কষ্ঠকর। আমি পটুয়াখালী থেকে নির্বাচিত শাজাহান মিয়া ও লক্ষ্মীপুর থেকে নির্বাচিত শাজাহান কামাল সাহেব এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত সাত্তার সাহেবের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের এই সংসদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সংসদের এটাই আমাদের শেষ অধিবেশন। আর সেই অধিবেশন শুরু করতে হলো আমাদের কয়েকজন সংসদ সদস্যের মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে। এটা সত্যিই খুব দুঃখজনক।’
শোক প্রস্তাবের উপর আরও আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আ স ম ফিরোজ, আনোয়ার হোসেন খান, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, পীর ফজলুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে সংসদে শোক প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়।