‘উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকার আবারও দরকার’
২৩ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪৫
নওগাঁ: ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়— এটি বারবারই প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। দেশে উন্নয়নের জোয়ার এনে দিয়েছেন। সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকার আবারও দরকার।’
নওগাঁর ধামরাইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক ব্যতিক্রমী আয়োজনে অংশ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক উপ-তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন।
ওই আয়োজনে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৪০০ নেতাকর্মী সম্প্রতি টুঙ্গিপাড়া সফর করেন। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তারা। আসা-যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। আক্তার হোসেনের ব্যবস্থাপনায় আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এই আয়োজনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেকেন্দার আলী, সিনিয়র সহসভাপতি মেহবুব আহমেদ ও সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব হাজীমুদ্দিন মাস্টারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই আয়োজনে অংশ নিয়েই আক্তার হোসেন বলেন, ‘একটা সময় আমাদের উত্তরবঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বলতে কিছু ছিল না। যাতায়াত ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা কিছুই ভালো ছিল না। শেখ হাসিনার সরকার ধীরে ধীরে সবকিছুই হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। সেই ধামরাইরহাট থেকে যেভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে আমরা টুঙ্গীপাড়া এসেছি, আগে তো সেটি কল্পনাও করা যেত না!’
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়ার পর একে একে শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেখেন নেতাকর্মীরা। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখে তারা আপ্লুত হয়ে ওঠেন।
আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেকেন্দার আলী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে চমৎকারভাবে এগুচ্ছে, সেটি আজ আমরা সবাই মিলে দেখলাম। একটা সময় আমাদের উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা বা দেশের অন্যান্য জায়গায় যেতে পুরো দিন বা তারও বেশি সময় লেগে যেত। এখন যোগাযোগব্যবস্থা এতটাই উন্নত যে আমরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যেতে পারছি। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আছেন বলেই।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মেহবুব আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন বলেই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি, যা পুরো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। তেমনি মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা শহরকেও বদলে দিয়েছে। শুধু যোগাযোগ নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা আবারও শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করতে চাই।’
ষাটোর্ধ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা আফাজউদ্দিনও ছিলেন এই দলে। আবেগতাড়িত হয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবের কথায় যুদ্ধে নেমেছিলাম। দেশ স্বাধীন করলেও তাকে দেশ গড়ার সুযোগ ঘাতকেরা দেয়নি। তারপরও যে বাংলাদেশ থেমে নেই, সেটা নিজ চোখে দেখছি। এর চেয়ে শান্তি আর কী হতে পারে! বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, আর তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন। শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি আমি।’
ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের সমন্বয়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের অঞ্চল থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় আড়াই শ কিলোমিটার। অনেকেই আছে যাদের টুঙ্গিপাড়া, পদ্মা সেতু বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেখা হয়ে ওঠেনি। নেতা-কর্মীদের অনেকের এসব নিজ চোখে দেখার আকুতি ছিল, বিশেষ করে বয়স্কদের। তাই সবাইকে নিয়ে এই আয়োজন। এসব দেখতে পেরে তারা অভিভূত।’
সারাবাংলা/টিআর