ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৫৭
খুলনা: ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন। উপকূলীয় তিন উপজেলাসহ জেলার নয়টি উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন। উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে জেলায় তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জনের জন্য ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন এবং ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে। শুকনো খাবার ও ওষুধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খুলনা জেলায় সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছে কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষ। তারা আশঙ্কা করছেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন আঘাত হানলে গ্রামের বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাবে। এতে লোনা পানিতে পুরো এলাকা ভেসে যাবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন।
তিনি আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় পাঁচ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন-
- ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
- ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’এ পরিণত হয়েছে নিম্নচাপটি
- ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ
- হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ
- নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত
- ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ
- ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় ভোলায় প্রস্তুত ৭৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র
- ৩১০ কিমি দূরে হামুন, চট্টগ্রাম-পায়রায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
- হামুন: ১৫ জেলায় জলোচ্ছ্বাস, ৫ বিভাগে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা
- বুধবার দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম-বরিশাল উপকূল অতিক্রম করবে হামুন
সারাবাংলা/এনইউ