বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল পাসের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:১৬
ঢাকা: জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাসের সুপারিশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ট্রেড ইউনিয়ন সুবিধা বৃদ্ধিসহ বেশকিছু সংশোধনী প্রস্তাব এনে গত ২৯ অক্টোবর সংসদে ওই বিলটি উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. আনোয়ার হোসেন (হেলাল) এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, সংসদে উত্থাপিত বিলে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১১২ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্রসূতি তার মালিকের নিকট থেকে তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী অন্যূন ২১ দিনসহ ১২০ দিনের প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন। তবে ওই শ্রমিককে সেখানে কাজের সময় অন্ততঃ ৬ মাস পার করতে হবে। এছাড়া শ্রমিকের সন্তান প্রসবের সময় তার দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকলে এই সুবিধা পাবেন না।
আগে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ২০ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাদের সমর্থনসহ আবেদন প্রয়োজন হতো। সংসদে উত্থাপিত বিলে সেটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এখন শ্রমিকের সংখ্যা যদি ৩ হাজারের কম হয়, তাহলে ২০ শতাংশের সমর্থন লাগবে। আর তিন হাজারের বেশি হলে সেটি ১৫ শতাংশ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে এবং আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে সেখানে তাঁরা করতে পারবেন।
এ ছাড়া গ্রুপ অব কোম্পানি হলে ২০ শতাংশ শ্রমিক চাইলে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে। এ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি (প্রতিবন্ধী) নির্বিশেষে কোনো ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে