অবরোধের তৃতীয় দিনেও ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস, বাড়ছে দুর্ভোগ
২ নভেম্বর ২০২৩ ১১:২৭
ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিনেও গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর ও শ্যামলীর বাস কাউন্টার থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করছে না। এ কারণে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তবে ঢাকার ভেতরে বিভিন্ন কোম্পানির কিছু বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
এছাড়া মানিকগঞ্জের পাটুরিয়াগামী সেলফি পরিবহনের কিছু বাস চলাচল করতে দেখা যায়। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সময়ে রাজধানীর গাবতলী, মিরপুরের মাজার রোড, টেকনিক্যাল মোড় ও কল্যাণপুর ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এ সময় গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ফরিদপুরের বোয়ালমারী যাব। কিন্তু কাউন্টারে এসে দেখি গাড়ি নাই। এখন ভেঙে ভেঙে যাওয়ার চিন্তা করছি।’
গাজীপুরের চন্দ্রায় যাওয়ার জন্য ছোট দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন লিলি আক্তার। তিনি বলেন, ‘বোনের বাসায় যাব। বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। সব বাস সাভার-নবীনগর পর্যন্ত যাচ্ছে। চন্দ্রা পর্যন্ত চলাচল করে এমন বাস পাচ্ছি না।’
গাবতলী বাস টার্মিনালে শ্যামলী ট্রাভেলসের ম্যানেজার প্রভাত রায় সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাউন্টারে যাত্রী নাই। অল্প যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো হলে আমাদের পোষাবে না। গত দু’দিন না ছাড়লেও আজ চেষ্টা করব দিনের বেলায় কয়েকটি বাস চালাতে। বিকেলের দিকে উওরবঙ্গগামী, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে কয়েকটি বাস চালানোর ইচ্ছা আছে।’
গাবতলীতে মাথায় ফেরি করে বোতলজাত পানি ও বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় বিক্রেতা সোহেল মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত (সাড়ে ১০টা) মাত্র ১ বোতল জুস বিক্রি হয়েছে। অন্য দিন এতক্ষণ সময়ে ২৫-৩০টি বোতল জুস-পানি বিক্রি হয়ে যেত। সড়কে আজকে গাড়ি চলাচল আরও কম। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে এবং ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।’
আমিন বাজার সেতুর পূর্ব পাশে শহিদ কনস্টেবল মামুন মিয়া চত্বরে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা হয়। তিনি নাম প্রকাশ না করে সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ সড়কে গাড়ি ও যাত্রী দুটোই কম। এই এলাকার সড়কে গত তিন দিনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। সড়ক স্বাভাবিক থাকলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখছি না।’
এদিকে অবরোধের প্রথম দুই দিন গাবতলী-মাজাররোড ও টেকনিক্যাল এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের শান্তি সমাবেশ এবং সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে বসে থাকতে দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের সেভাবে অবস্থান চোখে পড়েনি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস