ঢাবিতে স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের সিম্পোজিয়াম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আ ন ম ফখরুল আমিন ফরহাদের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের দায়িত্বরত ড. বার্নার্ড স্প্যানিয়ার।

সিম্পোজিয়াম সঞ্চালনা করেন মহিউদ্দীন ভূইয়া এবং খাদিজা আক্তার ঊর্মি। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের হেড অব কমিউনিকেশন রাইসা নাসের।

প্রধান অতিথি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ক্লাসের লেখাপড়া ক্যারিয়ার গঠনের সামান্যতম অংশ। জীবনে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই অন্যান্য দক্ষতার বিকাশ করতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশ অন্যতম।

আলোচনায় ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের সভাপতি মাসুদ খান বলেন, আমাদের পরিচালিত করে আমাদের মন। তাই আমাদের ব্যাক্তিগত ও কর্মজীবনে আমাদের মনস্তত্ত্ব অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে। তাই আমাদের জন্য মানসিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। নেতিবাচকতাকে পরাভূত করে ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে।

এটুআই প্রোগ্রামের সোস্যাল ইনোভেশনের প্রধান মানিক মাহমুদ বলেন, আমাদের পড়ালেখা ও চাকরিজীবনের দক্ষতায় অনেক বড় ফারাক আছে, যা সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা অবগত নয়। কিন্তু কাজের সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও সমসাময়িক চাকরির বাজারের মধ্যে একটা যোগাযোগ তৈরি করতে হবে।

স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপারসন মাহবুব রহমান বলেন, দক্ষতা বিষয়টি আমরা কখনোই এড়িয়ে যেতে পারব না। অনেক রকম দক্ষতা বা স্কিলের মধ্যে ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে লাগবেই এবং এটা আমাদের গুরুত্বের সঙ্গেই শেখা উচিত। পাশাপাশি আমাদের সোস্যাল মিডিয়ার ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।

বার্নার্ড স্প্যানিয়ার বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এই বিশাল জনসংখ্যার কোয়ালিটি যদি বাড়ানো যায় তাহলে অনেক বড় বিপ্লব সাধন হবে। যুবসমাজের ডিজিটাল স্কিল বাড়াতে এখনই বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।

এ ছাড়াও প্যানেল মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরান হোসেন ভূইয়া ও সাদিয়া নূর খান।

অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে যুবসমাজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক বিকাশের জন্য কর্মশালা, আলোচনা সভা ও অনলাইন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

সারাবাংলা/টিআর

অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন স্মার্ট বাংলাদেশ