Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মনোনয়ন লড়াইয়ে আ.লীগে মোসলেম পরিবার এগিয়ে, বিএনপির ফারুক

কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৩৫

ময়মনসিংহ: আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভাষাসৈনিক রফিক উদ্দিন ভুইয়া, পাঁচ বারের এমপি এম শামসুল হক (একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (একুশে পদকপ্রাপ্ত) এবং সাবেক ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ’র জন্মভূমি ও রাজনীতির চারণক্ষেত্র ময়মনসিংহ। এই সকল রাজনীতিক কালে কালে বাংলাদেশ ও বাঙালির ইতিহাসকে উচ্চকিত করে গেছেন। এই অঞ্চলের রাজনীতি আবর্তিত হতো উল্লিখিত সব নেতাদের ঘিরে। মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো তাদের জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই নির্বাচন এখন কড়া নাড়ছে।

আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যদিও রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সরাসরি নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলছে না। তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই দাবিতে তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় থেমে নেই সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসনের জেলা ময়মনসিংহের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ নিজেকে যোগ্য প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছেন তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ১১টি আসনে আওয়মী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ অন্যান্য দলের প্রায় পৌনে দুই’শ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। ময়মনসিংহকে বলা হয়ে থাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। স্বাধীনতার পর থেকে এখানকার বেশিরভাগ সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিএনপি এবং তার পর জাতীয় পার্টি। কয়েকবছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। সেজন্য তাদের দুয়েকটি আসন ছেড়ে দিতে হয়। এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধলে অন্তত দু’টি আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নয়টি আসনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাঠে নামতে হবে। আর রাজপথের প্রধান বিরোধীদল নির্বাচনে এলে ভোটের হিসাব-নিকাশ কিছুটা হলেও পাল্টে যাবে। কারণ, তারাও কয়েকটি আসন পুনরুদ্ধারে ভোটের মাঠে নামবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক পরিক্রমায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে থাকছে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের চিত্র।

আরও পড়ুন:

আ.লীগে খালিদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী, বিএনপিতে এগিয়ে জাকির

আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসন। আসনটিতে রয়েছে একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন। বর্তমানে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ ছয় বার এবং বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দু’বার করে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আ ন ম নজরুল ইসলাম, ১৯৭৯ সালে জাতীয় পার্টির হাবিবুল্লাহ সরকার, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে আবার জাতীয় পার্টির হাবিবুল্লাহ সরকার, ১৯৯১ সালে বিএনপির খন্দকার আমিনুল ইসলাম হীরা, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, ২০০১ সালে বিএনপি’র ইঞ্জিনিয়ার শামস্ উদ্দিন আহামেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আর ২০০৮, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন টানা এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

এই আসনে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারসহ মোট পাঁচবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন। এবারও তিনি এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। তবে তার বয়স হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি যদি নির্বাচন না করেন তাহলে তার ব্যবসায়ী ছেলে ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়েসহ আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন চাইতে পারেন। এ নিয়ে মোসলেম পরিবারেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। এদিকে, দলীয় কোন্দল রয়েছে বিএনপিতেও। যদিও বিএনপি বর্তমানে এক দফার আন্দোলনে ব্যস্ত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলটি নির্বাচনে এলে তাদের একাধিক প্রার্থী মাঠে দাঁড়িয়ে যাবে। অপরদিকে বড় বড় রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও জাসদ থেকেও মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন- পাঁচ বারের এমপি ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, মোসলেমপুত্র উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমদাদুল হক সেলিম, অস্ট্রেলিয়া ফেরত মেয়ে সেলিমা আক্তার সালমা, আরেক মেয়ে জেলা পরিষদ সদস্য সালমা আক্তার বিউটি, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম মোস্তফা তপন ও ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার।

আর বিএনপি থেকে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন- ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আক্তারুল আলম ফারুক, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ মামুন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল করিম সরকার, উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ আসিকুল হক আসিক।

এই আসনে জাপার আলাদা ভোট ব্যাংক রয়েছে। এবার এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন জাপার জেলা সভাপতি চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. কেআর ইসলাম। বলা হচ্ছে জাপা থেকে তিনি এই আসনে একক প্রার্থী। তারপরও জি এম কাদেরের ঘনিষ্ঠজন জাপা নেতা মাহফুজুর রহমান বাবুল এই আসন থেকে মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এই আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইতে পারেন ময়মনসিংহ মহানগর জাসদ (ইনু) সভাপতি ও সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দাবি, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেকর্ড সংখ্যকবার জয়ী হলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে চমক দেখাতে পারেননি। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও এলাকাবাসীর হতাশা রয়েছে। যদিও এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নের দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন। তবে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য কোন্দল রয়েছে। যা উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য রূপ নেয়।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘৮৭ বছর বয়সী বর্তমান এমপি মোসলেম উদ্দিন বার্ধক্যসহ নানা জটিলতায় অসুস্থ থাকেন। গত তিন বছর ধরে তিনি এলাকায় আসতে পারেননি। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরসহ দেশ-বিদেশে ঘুরছেন। এমন অবস্থায় পরিবার থেকে ছেলে-মেয়েরা মনোনয়ন পেতে স্থানীয় আওয়ামী লীগে পরিবারকেন্দ্রিক আলাদা একটি বলয় তৈরির চেষ্টা করছেন।’

তবে মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ও ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম তার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘এসবের কোনো ভিত্তি নেই। পদবঞ্চিত ও জনবিচ্ছিন্ন কিছু নেতা এসব অভিযোগ করছেন। এই আসনের ফুলবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গত ১৪ বছর আগে মাত্র ৮০ কিলোমিটার সড়ক পাকা ছিল গোটা উপজেলায়। এখন ৩০০ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণসহ ব্রিজ কালভার্ট হয়েছে। যা বর্তমান এমপির অবদান।’

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামছুন নাহার হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এমপিকন্যা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সেলিনা আক্তার সালমা সারাবাংলাকে জানান, ফুলবাড়িয়া থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন ও মনোনয়ন প্রশ্নে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে তিনি বিব্রত। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্যই দলের সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন বলে সাফ জানালেন তিনি। পারিবারিক সুনাম নষ্ট হোক তা তিনি চান না। সেজন্য কোনো বিরোধে জড়াতে রাজি নন তিনি।

অপরদিকে দলীয় কোন্দলের বাইরে নেই বিএনপিও। বিএনপির মহাসচিব তারেক রহমান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আক্তারুল আলম ফারুক মনোনয়ন দৌড়ে মাঠে রয়েছেন। কিন্তু তার কোনো কর্মসূচিতে যোগ দেন না স্থানীয় নেতারা। দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যরা পৃথক কর্মসূচি পালন করেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এ রকম গ্রুপিং কোন্দলে বিব্রত ও হতাশ দলের নেতাকর্মীরা।

আক্তারুল আলম ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ফুলবাড়িয়া বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ ও অনেক শক্তিশালী। আমার চাচা ইঞ্জিনিয়ার শামস্ উদ্দিন আহমেদ দু’বার এমপি ছিলেন, মামা হাবিবুল্লাহও এমপি ছিলেন। আমার নানা এমপি ছিলেন। সুতরাং পারিবারিকভাবেই আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। এলাকার মানুষ আগামী নির্বাচনে আমাকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।’

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরেকজন কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা আব্দুল করিম সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘যোগ্যতা আছে বলেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাইব। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সূর্যসেন হলের জিএস ছিলাম। ছাত্রদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলাম। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে উঠে এসে পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় আছি। দলের কর্মসূচি ছাড়াও এলাকার সামাজিক ও পারিবারিকসহ যেকোনো আয়োজনে উপস্থিত থাকি। রাজনীতিতে অবদান ও মাঠের অবস্থা বিবেচনা করে দল আগামীতে আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস।’

ফুলবাড়িয়া আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুল্লাহ সরকার এর আগে দু’বার এমপি ছিলেন। এবার এই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা জাপার সভাপতি ডা. কেআর ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত নির্বাচনেও আমার মনোনয়ন মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আসন না ছাড়ায় আমাকেই সরে যেতে হয়েছে নানা চাপে। এলাকাবাসীকে বিনা ফি’তে বছরজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি। মাঠের জনপ্রিয়তা বিবেচনায় আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয় নিশ্চিত।’

উল্লেখ্য, এই আসনে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৩০৯ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৩১ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩ হাজার ৮৭৬ জন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির শামস্ উদ্দিন আহমেদ। তিনি পান ৮১ হাজার ৮৫০ ভোট। এর পর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোসলেম উদ্দিন ফের ১ লাখ ৬৪ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই সময় তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদের আব্দুর রহমান। তিনি পান ৮ হাজার ২৯৪ ভোট। আর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের মোসলেম উদ্দিন। ওইবার তিনি ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শামস্ উদ্দিন পান ৩২ হাজার ৩৩২ ভোট।

সারাবাংলা/কেএমএম/পিটিএম

আক্তারুল আলম ফারুক আব্দুল করিম সরকার আব্দুল মালেক সরকার ইমদাদুল হক সেলিম ডা. কেআর ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ময়মনসিংহ-৬ মোসলেম উদ্দিন সেলিনা আক্তার সালমা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর