বিজ্ঞাপন

আ.লীগে ১ ডজন প্রার্থীর ভিড়ে নাজিমের সম্ভাবনা বেশি, বিএনপির ইকবাল

November 1, 2023 | 10:19 pm

কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ময়মনসিংহ: আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভাষাসৈনিক রফিক উদ্দিন ভুইয়া, পাঁচ বারের এমপি এম শামসুল হক (একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (একুশে পদকপ্রাপ্ত) এবং সাবেক ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ’র জন্মভূমি ও রাজনীতির চারণক্ষেত্র ময়মনসিংহ। এই সকল রাজনীতিক কালে কালে বাংলাদেশ ও বাঙালির ইতিহাসকে উচ্চকিত করে গেছেন। এই অঞ্চলের রাজনীতি আবর্তিত হতো উল্লিখিত সব নেতাদের ঘিরে। মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো তাদের জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই নির্বাচন এখন কড়া নাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যদিও রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সরাসরি নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলছে না। তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই দাবিতে তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় থেমে নেই সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসনের জেলা ময়মনসিংহের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ নিজেকে যোগ্য প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছেন তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ১১টি আসনে আওয়মী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ অন্যান্য দলের প্রায় পৌনে দুই’শ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। ময়মনসিংহকে বলা হয়ে থাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। স্বাধীনতার পর থেকে এখানকার বেশিরভাগ সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিএনপি এবং তার পর জাতীয় পার্টি। কয়েকবছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। সেজন্য তাদের দুয়েকটি আসন ছেড়ে দিতে হয়। এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধলে অন্তত দু’টি আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নয়টি আসনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাঠে নামতে হবে। আর রাজপথের প্রধান বিরোধীদল নির্বাচনে এলে ভোটের হিসাব-নিকাশ কিছুটা হলেও পাল্টে যাবে। কারণ, তারাও কয়েকটি আসন পুনরুদ্ধারে ভোটের মাঠে নামবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক পরিক্রমায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে থাকছে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের চিত্র।

আরও পড়ুন:

বিজ্ঞাপন

কেল্লা তাজপুরের বিবি সখিনা, রাজা-মহারাজা ও জমিদারদের স্মৃতি বিজড়িত গৌরীপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-৩ আসন। এই আসনে ১৯৭০ সাল থেকে ১৪টি সংসদ নির্বাচনে (৯৬’র ১৫ ফেব্রুয়ারি ও দু’টি উপনির্বাচনসহ) আওয়ামী লীগ থেকে নয় বার, বিএনপি থেকে তিনবার ও জাতীয় পার্টি থেকে দুই বার এমপি নির্বাচিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের হাতেম আলী, ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, ১৯৭৯ সালে বিএনপি’র অ্যাডভোকেট এএফএম নাজমুল হুদা, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন খান পাঠান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম এমপি হন। কিন্তু তিনি হঠাৎ মারা গেলে উপনির্বাচনে তার স্ত্রী বেগম রওশন আরা নজরুল এমপি হন। এর পর ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি’র অ্যাডভোকেট এএফএম নাজমুল হুদা এমপি নির্বাচিত হন। আর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে টানা তিন বার এই আসনে আওয়ামী লীগের ডা. মুজিবুর রহমান ফকির (অব. ক্যাপ্টেন ) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। কিন্তু ২০১৬ সালে তিনি মারা গেলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জয়লাভ করেন অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ।

এবারও দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগে রয়েছে ডজন খানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ ছাড়া বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতেও রয়েছে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিশ্চিতে খুব হিসাব-নিকাশ করতে হবে। কারণ বিএনপি এক দফার আন্দোলনে থাকলেও যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উঠান বৈঠক, ধর্মীয়-সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে সময় দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। বর্নিল রংয়ের ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণ শোভা পাচ্ছে এ আসনের সড়কগুলোতে। আর বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আন্দোলন ও আটক-গ্রেফতার এবং নেতার মুক্তির দাবিতে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে নিজেদের অবস্থার জানান দিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বর্তমান এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ, বাকসু ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ও শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুর রফিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোর্শেদুজ্জামান সেলিম, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হাসান অনু, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম মোস্তফা ওরফে ভিপি বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের স্ত্রী নীলুফার আনজুম পপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নাজনীন আলম।

এছাড়া বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জি. এম ইকবাল হোসাইন, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সদস্য হাফেজ মো. আজিজুল হক, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হীরণ, জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হক।

দল ক্ষমতায় থাকলেও দলীয় কোন্দল রয়েছে আওয়ামী লীগে। এই কোন্দল শুরু হয় সাবেক এমপি ডা. মজিবুর রহমান ফকিরের সময় থেকে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদের পরিবারের নানা কর্মকাণ্ডের কারণেও সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া দুই বার আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হয়ে এলাকায় উন্নয়নে কোনো চমক দেখাতে না পারায় এবং দলের মধ্যে বিভেদ দূর করে ঐক্য সৃষ্টিতে ব্যর্থ হওয়ায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাকে নিয়ে কিছুটা হতাশা রয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগেই এই কোন্দল মিটিয়ে যোগ্যপ্রার্থী বাছাই করতে হবে আওয়ামী লীগকে।

তবে বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গৌরীপুর আসনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ-গৌরীপুর-নেত্রকোনা ২৬ কিলোমিটার নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, জলবুরুঙ্গা ব্রিজসহ তিনটি ব্রিজ-কালভার্টসহ গৌরীপুর সরকারি কলেজ, গৌরীপুর আর কে হাইস্কুল ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তাতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত। প্রধান বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা দেশের সব জাায়গার মতো এখানেও রয়েছে।’ তবে দলীয় কোন্দল নেই বলে দাবি তার। নাজিম উদ্দিন আশাবাদী যে, তিনি মনোনয়ন পেলে উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের স্ত্রী নীলুফার আনজুম পপি বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা আমার ওপর আস্থা রাখতে চায়। এই মুহূর্তে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছি। এখন আমার কাজ হচ্ছে দল গোছানো। দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের যে আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে, আগে সেটিকে সুদৃঢ় করতে চাই।’

আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী বাকসুর সাবেক ভিপি ও শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুর রফিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন পরীক্ষিত কর্মী। আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে থাকি। দলের দুর্দিনে নেতা-কর্মী ও সমর্থকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ করছি। গ্রামে-গঞ্জে, ওয়ার্ডে, হাট-বাজারে, ইউনিয়নে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এর আগেও আওয়ামী লীগ থেকে চার বার মনোনয়ন চেয়েছি। ক্লিন ইমেজের পরিচ্ছন্ন নেতা ও শিক্ষাবিদ হিসেবে মাঠের অবস্থা বিবেচনায় ও জনপ্রিয়তা যাচাই করে দল নৌকা প্রতীকে আমাকে মনোনয়ন দিলে আসনটি নিশ্চিত।’

অপরদিকে, বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জি. এম ইকবাল হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি বছরজুড়েই এলাকার খোঁজখবর রাখি। দলের মূল ধারার নেতা-কর্মীরা আছেন আমার সঙ্গে। বর্তমানে আমার দল এক দফার আন্দোলেন রয়েছে। গেল নির্বাচনে এই আসনের মানুষ আমাকে ব্যপক সমর্থন জানিয়েছিল। এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাকে চায়।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সদস্য হাফেজ মো. আজিজুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এক দফার আন্দোলন শেষে বিএনপি নির্বাচনে গেলে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী। আর আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি দলকে আসনটি উপহার দিতে পারব।’

এদের বাইরে জাতীয় পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ এবং স্থানীয় সাংবাদিক নেতা মোশাররফ হোসেন এই আসনে মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। মোশাররফ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির আমলে এই অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ ছাড়া বিরোধী দলে থাকার কারণে বিভিন্ন উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকাও রেখেছে জাতীয় পার্টি।’ দল মনোনয়ন দিলে তিনি এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে উপহার দিতে পারবেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এই আসনে ভোটার রয়েছে দুই লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৫ জন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মজিবুর রহমান ফকির। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এম ইকবাল হোসেইন। তিনি পান ৭৬ হাজার ৫১৭ ভোট। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের ৪৩ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়ে এমপি হন আওয়ামী লীগের মজিবুর রহমান ফকির। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন আলম পান ১৫ হাজার ১২৩ ভোট। কিন্তু ২০১৬ সালে তিনি মারা গেলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জয়লাভ করেন অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদ। তিনি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩০০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইন পান ২৪ হাজার ৫১৯ ভোট।

সারাবাংলা/কেএমএম/পিটিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন