চট্টগ্রাম ব্যুরো: অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) এবং দেশের বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ পরিচালিত দুটি প্রোগ্রামের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ইউটিএস-পিইউসি প্রোগ্রাম’ নামে পরিচালিত এ শিক্ষা কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, ডিপ্লোমা অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ডিপ্লোমা অব বিজনেস।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির চট্টগ্রামের দামপাড়া ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ সমাবর্তন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. অনুপম সেন।
সমাবর্তনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউটিএস বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক কার্ল রোডস এবং হেড অব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রিক্রুটমেন্ট পিটার মারে।
অনুপম সেন বলেন, ‘বিজ্ঞান দ্রুত এগুচ্ছে। এখন শুরু হয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। সামনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি বিশ্বকে কিভাবে বদলাবে আমরা জানি না। কিন্তু সেটা যেন মানব কল্যাণের ও প্রকৃতিবান্ধব হয়। ১৯৭৮ সালে আমি কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় অনেক চেষ্টা করেও চট্টগ্রামে আমার পরিবারে একটা টেলিফোন করতে পারিনি। আজ মোবাইল ফোনে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মুহূর্তেই যোগাযোগ করা যায়।’
‘আজ ইন্টারনেটে বহু রকমের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা যায়। বিজ্ঞানের নানা শাখার অগ্রগতি এখন বিস্ময়কর। জাপান একসময় দরিদ্র দেশ ছিল। কিন্তু ১৮৫৪ সালে মেজিদের ক্ষমতা পুনর্দখলের পর তারা তাদের শিক্ষার্থীদের সারা বিশ্বের উন্নত দেশে, বিশেষত, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে পাঠিয়ে দেয় বৈজ্ঞানিক-প্রযুক্তি শিক্ষা অর্জনের জন্য। এর ফলেই আজ জাপান বিশ্বের একটি উন্নত দেশ।’
অধ্যাপক কার্ল রোডস বলেন, ‘সমাবর্তন একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। আজ আমরা ছাত্রদের কৃতিত্ব উদযাপন করছি। এতে ইউটিএস এবং প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি উভয়ই খুব আনন্দিত। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব আমরা স্বীকার করছি। ইউটিএস বিজনেস স্কুলটি শিল্পের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। আমাদের ছাত্রদের ৮০ শতাংশই শীর্ষ কোম্পানিগুলোতে ইন্টার্নশিপ করে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক ক্যারিয়ার গড়ে উঠবে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শিল্পনেতাদের মাধ্যমে।’
পিটার মারে বলেন, ‘একজন অভিভাবক হিসেবে আমি চাই, আমার সন্তানরা একটি দুর্দান্ত শিক্ষা লাভ করুক। ইউটিএস এ ধরনের শিক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। আমি ইউটিএস-এ ২০ বছর ধরে আছি। আমি অনেক বাংলাদেশির সঙ্গে দেখা করেছি যারা খুব পরিশ্রমী। আজ যারা সনদ পেলেন, তাদের অস্ট্রেলিয়ায় ভালোভাবে যত্ন নেওয়া হবে, আমি আশ্বাস দিচ্ছি।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা ও ইউটিএস-বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর তৌফিক সাঈদ।