আ.লীগের শক্ত ঘাঁটিতে বাবেল এগিয়ে, বিএনপির বাচ্চু-রানা
১২ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৬
ময়মনসিংহ: আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভাষাসৈনিক রফিক উদ্দিন ভুইয়া, পাঁচ বারের এমপি এম শামসুল হক (একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (একুশে পদকপ্রাপ্ত) এবং সাবেক ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ’র জন্মভূমি ও রাজনীতির চারণক্ষেত্র ময়মনসিংহ। এই সকল রাজনীতিক কালে কালে বাংলাদেশ ও বাঙালির ইতিহাসকে উচ্চকিত করে গেছেন। এই অঞ্চলের রাজনীতি আবর্তিত হতো উল্লিখিত সব নেতাদের ঘিরে। মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো তাদের জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই নির্বাচন এখন কড়া নাড়ছে।
আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যদিও রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সরাসরি নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলছে না। তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই দাবিতে তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় থেমে নেই সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসনের জেলা ময়মনসিংহের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ নিজেকে যোগ্য প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছেন তারা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ১১টি আসনে আওয়মী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ অন্যান্য দলের প্রায় পৌনে দুই’শ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। ময়মনসিংহকে বলা হয়ে থাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। স্বাধীনতার পর থেকে এখানকার বেশিরভাগ সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিএনপি এবং তার পর জাতীয় পার্টি। কয়েকবছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। সেজন্য তাদের দুয়েকটি আসন ছেড়ে দিতে হয়। এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধলে অন্তত দু’টি আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নয়টি আসনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাঠে নামতে হবে। আর রাজপথের প্রধান বিরোধীদল নির্বাচনে এলে ভোটের হিসাব-নিকাশ কিছুটা হলেও পাল্টে যাবে। কারণ, তারাও কয়েকটি আসন পুনরুদ্ধারে ভোটের মাঠে নামবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক পরিক্রমায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে থাকছে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের চিত্র।
আরও পড়ুন:
- আ.লীগে শরীফ এগিয়ে, কোন্দলে প্রার্থী বেড়েছে বিএনপির
- আ.লীগের তুহিনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে, বিএনপিতে কোন্দল
- প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে আ.লীগের আরেং, বিএনপির প্রিন্স এগিয়ে
- আ.লীগে খালিদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী, বিএনপিতে এগিয়ে জাকির
- জাপা-আ.লীগে হেভিওয়েট প্রার্থীর ভিড়, বিএনপিতেও কম নয়
- ফখরুলকে আর ছাড় দিতে চান না ছাত্তার, বিএনপির শাহীন মাঠে
- মনোনয়ন লড়াইয়ে আ.লীগে মোসলেম পরিবার এগিয়ে, বিএনপির ফারুক
- আ.লীগে ১ ডজন প্রার্থীর ভিড়ে নাজিমের সম্ভাবনা বেশি, বিএনপির ইকবাল
একটি পৌরসভা, ১৫টি ইউনিয়ন ও দুটি আলাদা থানা নিয়ে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসন। এই আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। বলা হয়ে থাকে, এটি আওয়ামী লীগের নিশ্চিত আসন! স্বাধীনতার পর এই আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাত বার, বিএনপির একবার ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দু’বার বিজয়ী হন।
স্বাধীনতার পর এই আসনে বিএনপি একবার ও জাতীয় পার্টি দুইবার এবং আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাতবার বিজয়ী হন। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের আবুল হাসেম, ১৯৭৯ সালে বিএনপি’র ফজলুর রহমান সুলতান, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির এনামুল হক জজ মিয়া, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামীলীগের আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ, আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন এমপি নির্বাচিত হন। গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাবেক এমপি আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের ছেলে ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের পর থেকে টানা ছয়বার এই আসনটি আওয়ামী লীগ নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ টানা তিন বার ও তার পুত্র ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল টানা দুই বার এই আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে টানা দুই দশক ধরে এই আসনে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ভিত তৈরি হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ তাদের বিজয়ের ধারা ধরে রাখতে চায়। অন্যদিকে, আন্দোলনে থাকা বিএনপিতে কোন্দল ও বিভক্তি থাকলেও আগামী নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়িয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জিয়া হত্যা মামলার আসামি মেজর (অব.) রেজাউল করিম রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. আবুল হোসাইন দীপু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুল ও গফরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ।
এদিকে, এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকুর রহমান, প্রয়াত সাবেক এমপি ফজলুর রহমান সুলতানের ছেলে গফরগাঁও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান বাচ্চু ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোফাকখারুল ইসলাম রানা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ইসলামী চিন্তাবিদ ক্বারি হাবিবুল্লাহ বেলালীও জাপা থেকে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন।
প্রয়াত আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের পথ ধরেই গত দুই মেয়াদ দলের নেতা কর্মী ও সমর্থকদের সময় দিচ্ছেন তার ছেলে বর্তমান এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল। এলাকার উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কেবল নির্বাচনের সময় নয়, আমি সারাবছর এলাকায় থাকি। দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করি। গত দুই টার্মে গফরগাঁওয়ে দলকে শৃঙ্খলার সঙ্গে গুছিয়ে এনেছি। মাঠ এখন আওয়ামী লীগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’
গফরগাঁও এখন উন্নয়নের মহাসড়কে উল্লেখ করে এই নেতা আরও বলেন, ‘গফরগাঁওয়ের অভ্যন্তরীণ প্রতিটি সড়কের ব্রিজ কালভার্টের উন্নয়ন কাজ হয়েছে। জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভৌত অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। মডেল মসজিদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া প্রয়াত সাবেক এমপি জননেতা গোলন্দাজ পরিবারের সদস্য হিসেবে এলাকার মানুষ আমাকে পছন্দ করো ও ভালোবাসে। আমার নেতৃত্ব এলাকাবাসী সমর্থন করছে। আগামী নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দেবেন বলে আমি আশাবাদী।’
আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা ময়মনসিংহ জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছি। দুর্দিনে রাজপথে থেকে দলের প্রতিটি আন্দোলন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছি। জেল, জুলুম ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সবসময় সক্রিয় থেকে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর কারণে গফরগাঁওয়ে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু গফরগাঁয়ের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নয়। রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। গফরগাঁয়ের মানুষ এই প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। নির্ভেজাল নিষ্কন্টক মানুষের হাতে নৌকা চায়। নৌকার গুলোইয়ে বসে নৌকার লোকজনের উপর অত্যাচার করবেন, এটি মেনে নেবে না গফরগাঁওবাসী। গফরগাঁয়ের মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
এদিকে, রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি রয়েছে নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবিতে এক দফার আন্দোলনে। সেজন্য মনোনয়ন নিয়ে তাদের ততটা তোড়জোড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে গফরগাঁও আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রভাবশালী নেতা এ বি সিদ্দিকুর রহমানের রয়েছে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা ও আলাদা ভোট ব্যাংক। যদিও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আকতারুজ্জামান বাচ্চু। বিএনপির ক্লিন ইমেজের নেতা তিনি। দলের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অংশ নিচ্ছেন।
সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছি। দল কি সেটা ভুলে গেছে? সময় হলে ঠিকই মুল্যায়ন করবে। বর্তমানে এক দফার আন্দোলন চলছে। এখন নির্বাচন নয়, আন্দোলনই মুখ্য। মানুষ ভোটাধিকারের সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। মানুষ এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চায়।’
ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে উঠে আসা নতুন প্রজন্মের তরুণ প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা এই আসন থেকে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চান। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকা গফরগাঁওয়ের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন আমি তাই করব। দুঃসময়ে এলাকার জনগণের সঙ্গে ছিলাম, আগামীতেও জনগণের সঙ্গে থাকতে চাই। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে আগামী নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী। এলাকার মানুষ আমাকে পছন্দ করে, ভালোবাসে। বর্তমানে এক দফার আন্দোলনে মাঠে রয়েছি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ নই।’
আর জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নেতা ইসলামী চিন্তাবিদ ক্বারি হাবিবুল্লাহ বেলালী মনোনয়ন প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচনে অংশ নেব। মানুষ আমাকে ভালোবাসে ও পছন্দ করে। গফরগাঁওয়ের মানুষও জাতীয় পার্টিকে পছন্দ ও সমর্থন করে। আমি যদি মনোনয়ন পাই তাহলে এই আসনে আমার বিজয় নিশ্চিত।’
উল্লেখ্য, এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৪ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১২৮ জন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ১ লাখ ৪২ হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ফজলুর রহমান সুলতান। তিনি পান ৭১ হাজার ৫১১ ভোট। এর পর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল। তিনি ওই নির্বাচনে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খেলাফত মজলিসের নুরুল ইসলাম খান বাদল পান ৪ হাজার ১৮৪ ভোট। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জয় পান বাবেল। তিনি নৌকা প্রতীকে পান ২ লাখ ৮১ হাজার ২৩০ ভোট। তার নিকটতম এলডিপির সৈয়দ মাহমুদ মোর্শেদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পান ২৭ হাজার ভোট।
সারাবাংলা/কেএমএম/পিটিএম
আকতারুজ্জামান বাচ্চু এবি সিদ্দিকুর রহমান ক্বারি হাবিবুল্লাহ বেলালী গিয়াস উদ্দিন ডা. মোফাকখারুল ইসলাম রানা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল রেজাউল করিম রেজা