উদ্বোধনের অপেক্ষায় সুন্দরবনের ‘বাঘের বাড়ি’
১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১১
খুলনা: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় আসছেন। বিকেল ৩টায় তিনি খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। জনসভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী খুলনার সুন্দরবনের বাঘের বাড়িখ্যাত শেখেরটেক ইকোটুরিজমসহ ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
খুলনা শহর থেকে নদী পথে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে শিবসা নদীর পূর্বের পাড়ে রয়েছে শেখের খাল। তার কিছুটা দূরে এগিয়ে কালির খাল। এই দুই খালের মধ্যেবর্তী স্থানটি শেখের টেক নামে পরিচিত। ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মোঘল আমলে ওই শেখেরটেক এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছিল একাধিক স্থাপনা। যার ধ্বংসস্তুপ এখনো টিকে আছে। তবে সেখানে দন্ডায়মান অবস্থায় টিকে আছে একটি কালী মন্দির।
প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো ওই মন্দিরটিকেই কেন্দ্র করেই সেখানে বানানো হয়েছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র। মন্দিরের আশপাশে দেখা যায় বাঘের আনাগোনা। বাঘের টাটকা পায়ের ছাপও পাওয়া যায় এখানে। সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকোট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। সুন্দরবনে এটি পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণীয় স্থান হয়ে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন বন কর্মকর্তারা।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো প্রকল্পের তালিকায় (প্রস্তাবিত) রয়েছে মোট ২২টি প্রকল্প। এর মধ্যে গণপূর্ত বিভাগের রয়েছে আটটি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকল্প রয়েছে ১০টি। এছাড়া ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে দুটি।
শেখেরটেক ইকো-টুরিজম কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার আব্দুল হাকিম বলেন, ‘শেখেরটেক ইকো-টুরিজম কেন্দ্রটি এরই মধ্যে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে একটি অনেক পুরানো মন্দির রয়েছে। যেটি পর্যটকদের মুগ্ধ করবে। তৈরি করা হয়েছে তিন কিলোমিটার সড়ক, বেঞ্চ এবং ওয়াচ টাওয়ার। আগামীকাল ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধনের পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
সুন্দরবন বন বিভাগের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষায় পরিবেশবান্ধব ইকো-টুরিজম কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। সুন্দরবনের বাঘের বাড়িখ্যাত শেখেরটেক ইকোটুরিজম কেন্দ্র পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণীয় স্থান হয়ে দাঁড়াবে। এতে সুন্দরবনে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বৃদ্ধি পাবে।’
এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ‘খুলনায় জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার ২২টি প্রকল্প উদ্বোধন ও দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রকল্পগুলোর তালিকা আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে।’
সারাবাংলা/একে