Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মনোনয়ন দৌড়ে আ.লীগের ২ এমপি, বিএনপিতে ফখর-মোর্শেদ

কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৪৬

ময়মনসিংহ: আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভাষাসৈনিক রফিক উদ্দিন ভুইয়া, পাঁচ বারের এমপি এম শামসুল হক (একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (একুশে পদকপ্রাপ্ত) এবং সাবেক ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ’র জন্মভূমি ও রাজনীতির চারণক্ষেত্র ময়মনসিংহ। এই সকল রাজনীতিক কালে কালে বাংলাদেশ ও বাঙালির ইতিহাসকে উচ্চকিত করে গেছেন। এই অঞ্চলের রাজনীতি আবর্তিত হতো উল্লিখিত সব নেতাদের ঘিরে। মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো তাদের জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই নির্বাচন এখন কড়া নাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যদিও রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সরাসরি নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলছে না। তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই দাবিতে তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় থেমে নেই সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসনের জেলা ময়মনসিংহের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ নিজেকে যোগ্য প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ১১টি আসনে আওয়মী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ অন্যান্য দলের প্রায় পৌনে দুই’শ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। ময়মনসিংহকে বলা হয়ে থাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। স্বাধীনতার পর থেকে এখানকার বেশিরভাগ সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিএনপি এবং তার পর জাতীয় পার্টি। কয়েকবছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। সেজন্য তাদের দুয়েকটি আসন ছেড়ে দিতে হয়। এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধলে অন্তত দু’টি আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নয়টি আসনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাঠে নামতে হবে। আর রাজপথের প্রধান বিরোধীদল নির্বাচনে এলে ভোটের হিসাব-নিকাশ কিছুটা হলেও পাল্টে যাবে। কারণ, তারাও কয়েকটি আসন পুনরুদ্ধারে ভোটের মাঠে নামবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক পরিক্রমায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে থাকছে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের চিত্র।

শিল্প ও বনাঞ্চল অধ্যুষিত লাল মাটি উঁচু-নিচু পাহাড়িয়া জনপদের একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসন। তিন শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ে গড়ে ওঠা শিল্পনগরী ভালুকা বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ভালুকার। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মোস্তফা এমএ মতিন, ১৯৭৯ সালে মুসলিম লীগের আফতাব উদ্দিন চৌধুরী চাঁন মিয়া, ১৯৮৬ সালে আফতাব উদ্দিন চৌধুরী চাঁন মিয়ার ছেলে মুসলিম লীগের আমান উল্লাহ চৌধুরী, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির মেজর (অব.) আব্দুল হামিদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আর ১৯৯১ সালে মুসলি মলীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ফের এমপি নির্বাচিত হন আমান উল্লাহ চৌধুরী। তবে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে নির্বাচনে টানা চারবার এই আসনে জয় পান আওয়ামী লীগের অধ্যাপক ডা. এম আমানুল্লাহ। এ ছাড়া ২০১৮ সালে নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি নির্বাচিত হন।

ভালুকার মানুষ আওয়ামী লীগকে কখনই বিমুখ করেনি। শিল্পাঞ্চল হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রায় ২০ লাখ মানুষের বাস ভালুকায়। তবে স্থানীয়দের বেশিরভাগই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি। মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার সশস্ত্র এবং আড়াই হাজার প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা ভালুকাকে আগলে রেখেছিল। আর এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের বড় ভোট ব্যাংক। যদিও পরবর্তীতে পরিস্থিতি আর দলীয় কোন্দলে স্বাধীনতার পর চার বার এই আসন আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়।

আরও পড়ুন:

আ.লীগে খালিদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী, বিএনপিতে এগিয়ে জাকির

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র রেখে জমে উঠেছে ভোটের রাজনীতি। এবারও বেশ শক্ত অবস্থানেই রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যদিও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য বিভিন্ন দলের দেড় ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। আগামী নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় এক ডজন। প্রার্থী নির্বাচনে বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে আগামী নির্বাচনেও আসনটি আওয়ামী লীগ ধরে রাখতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে, একদফার আন্দোলনে থাকা বিএনপি থেকেও আগামী নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী ধানের শীষের মনোনয়ন চাইবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নানা কর্মসূচির নামে তৎপরতা চালাচ্ছে। বসে নেই জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, প্রয়াত ভাষাসৈনিক ও সাবেক এমপি মোস্তফা এমএ মতিনের মেয়ে সংরক্ষিত আসনের এমপি মনিরা সুলতানা মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহ আশরাফুল হক জর্জ, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম এ ওয়াহেদ, যুবলীগের সাবেক নেতা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, চারবারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. এম আমানুল্লাহ’র ছেলে ল্যাব এইড হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. মোনাসির সাকিফ আমান উল্লাহ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আদনান ইসলাম।

অন্যদিকে, বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- ভালুকা উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক ব্যবসায়ী ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম। এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন হাফিজ উদ্দিন মাস্টার ও জেলা জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক ভালুকা উপজেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম।

মনোনয়ন প্রসঙ্গে বর্তমান এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি আফসার বাহিনীর প্রধান মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদের পুত্র। ৭১ সালে সম্মুখ যুদ্ধে শহিদ হন আমার সহোদর নাজিম উদ্দিন ও মামা মতিউর রহমান। আমার পরিবারের ১৯ জন সদস্য মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন। বাবার আদর্শে মানুষের সেবা করার মানসে ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতি, যুবলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতি, একবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এই টার্মে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। করোনার সময়ে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, সাধ্যমতো সহায়তা দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ভালুকায় প্রায় ৫৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান। নির্বাচন এলেই কেবল নেতারা এলাকায় গণসংযোগ করতে আসেন। আমি সারাবছর এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ এলাকাবাসী আমাকে ভালোবাসে ও পছন্দ করে। আমার ওপর আস্থা রাখে। আগামী নির্বাচনে আমার কর্মকান্ড ও এলাকার উন্নয়নসহ জনপ্রিয়তা বিবেচনায় আওয়ামী লীগ অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আশা রাখছি।’

আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন ভাষা সৈনিক। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অবস্থায় ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। সেই আন্দোলনের সময় তিনি গ্রেফতারও হন। তিনি ভালুকা ও গফরগাঁও উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সালে ভালুকা আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭০ এর নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। তখন তিনি গণপরিষদের সদস্য হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল প্রতিষ্ঠা করে সেই দলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আমার প্রয়াত পিতা। আমি মুমিনুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্র সংসদে তিনবার ভিপি, দুইবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা সংসদ (ময়মনসিংহ) সদস্য হিসেবে এলাকায় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছি। আগামীতে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনে মনোনয়ন চাই। আমি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেলে এই আসনে বিজয় সুনিশ্চিত।’

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশ আজ ক্রান্তিকাল পার করছে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এ দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চত করার জন্য। অতীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করে বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেন সরকারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে নব্য স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। সেই স্বৈরাচারকে উৎখাত করেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। বিএনপি’র বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের যে নির্দেশনা দিচ্ছেন সে অনুযায়ী আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। গতবারও আমি মনোনয়ন পেয়েছিলাম। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে এবং দল যদি সেই নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে আমিও আগামী নির্বাচনেও মনোনয়ন চাইব। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও রয়েছে আমার।’

বিএনপির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী মোর্শেদ আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এলাকায় ব্যপক কাজ করেছি। সময়ে-অসময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এলাকার সাধারণ মানুষ আমাকে চায়, ভালোবাসে ও কাছে পায়। তাদের ভারোবাসার প্রতিফলন ঘটবে নিশ্চয়ই। আন্দোলন শেষে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই।’

জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভালুকা উপজেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এলাকাবাসীর সঙ্গে নিবিড় ও আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে আমার। সাবেক ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ এ আসনে নির্বাচন করেছিলেন। আমি ওই সময় একান্তভাবে তার সঙ্গে থেকে কাজ করেছি। দলের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আগামী নির্বাচনে আমাকে দেখতে চায়। দলের মনোনয়ন পেলে আমি আধুনিক ভালুকা গড়তে ভূমিকা রাখব।’

উল্লেখ্য, এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৮৩ হাজার ১৯ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭৮ হাজার ৪৪২ জন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আমান উল্লাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ফখর উদ্দিন আহমেদ। তিনি পান ৬৩ হাজার ৩৭৬ ভোট। এর পর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আমান উল্লাহ। তিনি ওই নির্বাচনে ৯১ হাজার ৫৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাদত ইসলাম চৌধুরী আনারশ প্রতীকে পান ১০ হাজার ৪১১ ভোট। তবে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু। ধনু ২ লাখ ২২ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফখর উদ্দিন আহমেদ ধানের শীষ প্রতীকে পান ২৭ হাজার ২৭৭ ভোট।

সারাবাংলা/কেএমএম/পিটিএম

আওয়ামী লীগ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু জাতীয় পার্টি ডা. কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম ডা. মোনাসির সাকিফ আমান উল্লাহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু বিএনপি মনিরা সুলতানা মনি ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) মোর্শেদ আলম শাহ আশরাফুল হক জর্জ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর