কৃষি মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ৪১২ ব্যবসায়ীকে আর্থিক অনুদান
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৩ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৮
ঢাকা: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ৪১২ জন ব্যবসায়ী হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুর নতুন কাঁচা বাজারের (কৃষি মার্কেট) ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ ও মার্কেট পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এসময় মেয়র বলেন, ডিএনসিসির মার্কেটের অবৈধ দোকানদারদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসলে কাওরান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, রায়েরবাজার মার্কেটসহ ডিএনসিসির সব মার্কেটে বৈধ দোকানদারের পাশাপাশি অনেক অবৈধ দোকানদার রয়েছে। অবৈধ দোকানদাররাই নতুন আধুনিক ভবন নির্মাণ হোক এটা চান না। আমি ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের ও কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি অবৈধ দোকানদারদের তালিকা তৈরি করতে। অবৈধ দোকানদারদের তালিকা করে দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কাওরানবাজারসহ কয়েকটি মার্কেটের অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক মার্কেটের দেয়াল খসে পড়েছে। যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন দুর্ঘটনা ঘটে আমরা মারা যাবো তাও মার্কেট ছাড়ব না। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটলে এবং ক্রেতাদের ক্ষতি হলে সে দায় কে নেবে। আমরা এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো ভেঙে আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করে দেব। নতুন মার্কেট ভবন নির্মাণ মানে বরাদ্দ প্রাপ্ত দোকানদারদের দোকান নিয়ে নেওয়া না, বরং সুন্দর দোকান পাবেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি মার্কেটে অগ্নি নির্বাপক সিস্টেমসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মার্কেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতিকে আহবান করছি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করতে হবে। কৃষি মার্কেটের কাজ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। ডিএনসিসি’র কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিচ্ছি এটির কাজ যেন টেকসই হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের সেবায় দিন রাত পরিশ্রম করেন। সেই নেত্রীর কর্মী হিসেবে আমরা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হইনি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, অনেকে বলেছে এখানে অনেক বড় ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে সময় লাগবে। ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। তাদের জীবন জীবিকার কি হবে। আমি মেয়র মহোদয়কে অনুরোধ জানিয়েছি দ্রুত সময়ে মার্কেটটি আগের মতো নির্মাণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করার জন্য। যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ মেয়র মহোদয়কে।
ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি মার্কেটের পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হলো। ব্যবসায়ীদের বিপদে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ব্যবসায়ীকে বঞ্চিত করা হবে না, সবাইকে দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন এবং চেক বিতরণ শেষে নির্মাণ নাম ফলক উন্মোচন করে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসির অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ডিএনসিসির ২৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর নতুন কাঁচা বাজার (কৃষি মার্কেট) ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. সলিমউল্লাহ (সলু) ল স্থানীয় কাউন্সিলররা।
সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ