শার্শায় অপহরণের ৫ দিন পর মাগুরা থেকে লাশ উদ্ধার
১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩০
বেনাপোল (যশোর): যশোরের বেনাপোলে সোনার বার আত্মসাতের অজুহাতে ডেকে নিয়ে অপহরণের স্বীকার ওমর ফারুক ওরফে সুমনের (২৬) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের ৫ দিনের মাথায় অপহৃতের লাশ মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী এলাকার বাগান থেকে উদ্ধার করল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, গত ১১ নভেম্বর পাত্রি দেখার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি ওমর ফারুক সুমন।
নিহত ওমর ফারুক সুমন শার্শা থানাধীন টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। অপহরণের দ্বিতীয় দিন নিহতের মা মোছা. ফিরোজা বেগম বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। তবে এখনো পর্যন্ত আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।
ওসি সেকেন্দার জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটি বেনাপোল পোর্ট থানার অপহরণ মামলার ভিকিটিম ওমর ফারুকের। লাশটি বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অপহৃতের লাশ উদ্ধার হলেও এখনো পর্যন্ত এজাহারনামীয় আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।
পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে ওমর ফারুক পাত্রি দেখার জন্য বাসা হতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। পরের দিন গত ১২ নভেম্বর সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি ফোন কলে ওমর ফারুকের পরিবার জানতে পারেন তিনি অপহরণ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার মাগুরা জেলার আমখালীর নির্জন বাগানে সকালে ওমর ফারুকের লাশ পাওয়া যায়।
সোনা চোরাচালানের কারণে সুমনকে অপহরণ করা হয়ে বলে এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বেনাপোল সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, সুমনকে বেনাপোল পোর্ট থানা হতে ২৫০ গজ দূরের একটি তিনতলা ভবনের কক্ষে আটকিয়ে রাতভর মারধরসহ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। মূলত ৩ কোটির অধিক মূল্যের সোনা ছিনতাই ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই এমন করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, একাধিক কাউন্সিলরসহ আরও অনেক রাজনৈতিক দলের বড় নেতা ইন্ধনের অপহরণকারীরা এ ঘটনা ঘটেছে। যা প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করেন স্থায়ীরা।
প্রশাসনের একাধিক সংস্থা ইতোমধ্যে ঘটনাটির সিজিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। তবে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিক কামাল হোসেন জানায়, আমরা খবর পেয়েছি লাশটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/এনএস