সোনা খোয়া যাওয়ায় সুমনকে অপহরণের পর হত্যা
১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০০
যশোর: সোনা খোয়া যাওয়ার সন্দেহে অপহরণের ওমর ফারুক ওরফে সুমনকে (২৬) হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এসব তথ্য জানায় যশোর ডিবি পুলিশ। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঢাকার শাখারীবাজার এলাকা থেকে এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার চন্দিনা উপজেলার আলীকুমড়া গ্রামের সুনীল চন্দ্র দাসের ছেলে ডালিম কুমার দাস (৩৩) ও দেবীদ্বার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুরদাস নিয়োগীর ছেলে অঞ্জন নিয়োগী (৪৯) এবং পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে মোহাম্মদ রিয়াজ (৩৮)।
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, সুমনকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। একটি টিম ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আসামিদের মোবাইল ফোনের তথ্য যাচাই করা হয়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, চোরাকারবারীদের সোনার ২৫টি বার প্রায় ৩ কেজি সোনা খোয়া যায়। সোনা চোরাকারবারী চক্রের কামাল গ্রুপ এ ঘটনায় নিহত সুমনকে সন্দেহজনকভাবে আটকে রেখে মারধর করে। এরপরও সুমনের কাছে সোনা না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মাগুরার রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোঁপের মধ্যে ফেলে দেয়।
এর আগে, গত ১১ নভেম্বর বেনাপোল থেকে অপহরণের শিকার হন ওমর ফারুক ওরফে সুমন। এরপর গত ১৬ নভেম্বর মাগুরার রামনগর থেকে নিখোঁজ সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমন শার্শা উপজেলার টেংরালি গ্রামের ওসমান গনির ছেলে।
সারাবাংলা/এনএস