Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৯

ফাইল ছবি

ঢাকা: নির্বাচনের আগে সরকার নিজের মতো প্রশাসন সাজিয়েছে— বিরোধী দলগুলোর এমন অভিযোগ সবসময়ের বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তবে প্রমাণ না থাকলে সব অভিযোগ আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মো. আলমগীর বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে দেখে আসছি। আমার বয়স হওয়ার পর যত নির্বাচন দেখছি, চিরকালই সরকারি দলের বিরুদ্ধে বিরোধী দল এ ধরনের অভিযোগ করছে। তবে অভিযোগ দিলেই হবে না। সেই অভিযোগের আলোকে যথাযথ প্রমাণ দিতে হবে। উড়ো অভিযোগ করে কাজ হবে না। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ পেলে তবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর তার নিজ কক্ষে সারাবাংলার প্রতিবেদকসহ কয়েকজন সাংবাদিককে এসব কথা বলেন। নির্বাচনের আগে সরকার নিজের মতো করে প্রশাসন সাজিয়েছে— বিরোধী দলগুলোর এমন অভিযোগ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন।

উদাহরণ দিয়ে মো. আলমগীর বলেন, দেশে ঘুষখোরে ভরে গেছে— এমন অভিযোগ করলে হবে না। সুনিদির্ষ্টভাবে বলতে হবে কে ঘুষ খেয়েছে। তাহলেই কেবল ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

নির্বাচন কমিশন বর্তমান প্রশাসনে কোনো রদবদল করবে কি না— জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘শোনেন, কত জনের কত অভিযোগ আছে! চিনি কেন তিতা, লবণ কেন মিষ্টি, বাজারে কেন আলু নেই— এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো!

পুলিশ প্রশাসনে কোনো রদবদল করা হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অভিযোগ পেলে রদবদল করা হবে। অভিযোগ না পেলে রদবদল হবে কেন? অভিযোগ পাওয়ার পর তা প্রমাণিত হতে হবে। যেমন জামালপুরের ডিসি (জেলা প্রশাসক) উল্টাপাল্টা কথা বলছেন, আমরা তাকে বদলি করে দিয়েছি। এ ধরনের কিছু হলে আমরা অবশ্যই বদলি করব।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দেশে তো কত চোরই চুরি করছে। কিন্তু চোরকে পুলিশ ধরতে না পারলে তাকে কি জেলে দিতে পারবে? চুরি করলে তাকে পুলিশের নজরে আসতে হবে। তারপরে যদি পুলিশ ছেড়ে দেয়, তাহলে বলা যাবে যে আপনি চোর ছেড়ে দিয়েছেন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা দুই লক্ষাধিক। এর মধ্যে অর্ধেক ভোটকেন্দ্রেও যদি কারচুপি হয় আর হাতেগোনা কয়েকটি কেন্দ্রের কারচুপির বিষয়টি যদি গণমাধ্যমের বরাতে প্রকাশ্যে আসে, তাহলে কেবল ওই কেন্দ্রগুলোর ফলই বাতিল করা হবে কি না— এমন প্রশ্নও করা হয় নির্বাচন কমিশনার আলমগীরকে। জবাবে তিনি বলেন, পরীক্ষার হলে যখন নকল চলে তখন যে কয়জন ধরা পড়ে, তাদেরই কেবল পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়। হাতের আঙুলে ক্যানসার হলে আঙুল কেটে ফেলা হয়, হাত নয়।

নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। পুলিশ-বিজিবি বলেছে, তাদের ক্ষমতা ২০১৪ সালের তুলনায় অনেক বেশি আছে।’ একতরফা নির্বাচন হলে হলে সহিংসতা বেশি হতে পারে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সেজন্য জনবল বাড়ানো হবে।’

বিএনপি নির্বাচন করতে চাইলে এবং সহায়তা চাইলে নির্বাচন কমিশন তাদের সহায়তা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর। তিনি বলেন, ‘তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব আমাদের না। আমরা যদি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতাম তাহলে তারা কোথায় সভা-সমাবেশ করবে কিংবা না করবে, সেগুলো আমরা বলে দিতাম। তারা কাকে দলে নিল কিংবা না নিল অথবা দলের আয়-ব্যয় কত, এগুলো সব নিরীক্ষা করতাম। কিন্তু সেগুলো আমাদের আওতায় নেই।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

ইসি আলমগীর জাতীয়-নির্বাচন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সংসদ নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর