চট্টগ্রামে ‘জুড়ে বসা’ ৪ এমপি এবার চ্যালেঞ্জের মুখে
২০ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৩৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করেও কেউ দলটির মনোনয়নে সংসদ সদস্য, কেউ আবার একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। এবারও তারা প্রার্থী হতে চান ক্ষমতাসীন থেকে। তবে এবারে মনোনয়ন পেতে তাদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মোকাবেলা করতে হবে। কয়েকটি আসনে বেশ কয়েকজন রাজনীতিক, শিল্পপতি ও পেশাজীবী নেতার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর এমন আলোচনা তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের এম এ লতিফ এবং চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও মহানগরের একাংশ) দিদারুল আলম— এ চারজন সংসদ সদস্য শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে মোকাবেলা করে ফের মনোনয়ন আদায় করতে পারবেন কি না, সে বিষয়টি নিয়েই গুঞ্জন ও কৌতূহল ছড়িয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে।
দ্বিতীয় দিন মনোনয়ন ফরম বিতরণ শেষে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গতকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) এক হাজার ২১২ টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। দুদিনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ২৮৬টি।
জানা গেছে, রোববার চট্টগ্রামের ১৬ আসনের জন্য ৬৮টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। শনিবার প্রথম দিন ৬৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।
বাঁশখালীতে মোস্তাফিজ বনাম মুজিব
২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ‘অশালীন’ মন্তব্যে ভিডিও ভাইরাল হওয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, সাংসদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা, বাঁশখালীতে নিজ দলের বিরোধী নেতাকর্মীদের দমনপীড়ন, প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিলসহ নানা কারণে তিনি বারবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন।
২০১৪ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা কর্মকাণ্ডে দলের একাংশের বিরোধিতার সম্মুখীন হলেও ২০১৮ সালে মনোনয়নের পরীক্ষায় তিনি উতরে যান। তবে এবার মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পথ অতটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী। তাদের মতে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও শিল্পপতি মুজিবুর রহমান এবার কোমর বেঁধে নেমেছেন। মোস্তাফিজের কারণে বঞ্চিত দলটির নেতাকর্মীদের বড় অংশ মুজিবের সঙ্গে আছেন। আছে পারিবারিক পরিচিতিও।
মুজিবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই নির্বাচনেও আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম। না পেলেও দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে কাজ করেছি। দল যদি এবার আমাকে মূল্যায়ন করে, তাহলে মানুষের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। পারিবারিকভাবে আমরা বাঁশখালীতে স্কুল-কলেজ, মাদরাসা নির্মাণসহ জনহিতকর বিভিন্ন কাজে যুক্ত আছি। এখন পদ পেলে আরও বড় পরিসরে মানুষের জন্য কাজ করতে পারব বলে মনে করি। কারণ, আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আল্লাহ আমাকে সব দিয়েছেন। সুযোগ পেলে মানুষের জন্য কাজ করব।’
বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি দুইবারের সংসদ সদস্য। এলাকার জন্য যথেষ্ট কাজ করেছি। আরও কাজ করতে চাই। সেজন্য আবার মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। সবার মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু আমার কথায় বা তাদের কথায় তো আর মনোনয়ন দেওয়া হবে না, সেটা দেবেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন আমি যদি মনোনয়ন পাই এবং আবার নির্বাচিত হয়, তাহলে এলাকার জন্য আগের মতো কাজ করে যাব।’
লতিফের ঘাড়ে ফের সুজনের নিঃশ্বাস
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বন্দর-পতেঙ্গা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন খোরশেদ আলম সুজন। পরে মনোনয়ন পাল্টে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম চেম্বারের তৎকালীন সভাপতি এম এ লতিফকে। প্রথমে মনোনয়ন পেয়েও পরে ‘বঞ্চিত’ ছাত্রলীগের একসময়ের ডাকসাইটে নেতা সুজন এখন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলেও শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধিতার মুখে পড়েন লতিফ। তৎকালীন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ অধিকাংশ নেতা বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল— লতিফ জীবনে কখনো আওয়ামী লীগ করেননি, বরং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে একসময় যুক্ত ছিলেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরোধিতার মধ্যেও ‘ব্যবসায়ী নেতা’ লতিফের মনোনয়ন বহাল রেখেছিল আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। ২০০৮ থেকে ১৮ পর্যন্ত তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এর মধ্যে একবার বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে তুমুল বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন লতিফ। চট্টগ্রাম চেম্বারকে পারিবারিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়া, দলের ভেতর নিজস্ব বলয় তৈরি করা এবং মূলধারার নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্বের কারণে লতিফ বরাবরই আলোচিত-সমালোচিত।
চট্টগ্রামে দলটির নেতাকর্মীরা মনে করেন, এবার লতিফ মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ২০০৮ সালে মনোনয়ন পেয়েও পরে বঞ্চিত হওয়া খোরশেদ আলম সুজনই আছেন আলোচনার সর্বাগ্রে। গত দুবার মনোনয়ন চেয়েও পাননি, দুবার সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েও তিনি পাননি। এ কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সুজনের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন আছে।
জানতে চাইলে খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘৫০ বছরেরও বেশি সময়ের রাজনৈতিক জীবন আমার। জীবনের শেষসময়ে এসে আমি একটি সুযোগ দলের কাছে চাই। দল আমাকে ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক করেছিল। আমি সাধ্যমতো, নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করেছি, চট্টগ্রাম নগররবাসী এর সাক্ষ্য দেবেন। মরার আগে আমি দলের কাছে আরেকটি সুযোগ প্রার্থনা করছি, যেন আমি মানুষের জন্য ভালো কিছু কাজ করে যেতে পারি। একজন রাজনৈতিক কর্মীর কাছে এটাই প্রত্যাশা থাকে।’
সংসদ সদস্য এম এ লতিফ রোববার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
নদভীকে চ্যালেঞ্জ মিনহাজ-মোতালেবের
জামায়াত ইসলামীর দুর্গ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন। দুর্গ ভাঙতে ‘জামায়াত ঘরানার’ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীকে দলে এনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ, যিনি ‘মধ্যপ্রাচ্য লবি’র জন্য আগে থেকেই পরিচিত ও আলোচিত। ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার’ নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ তাকে দলে নিলেও দলটির পোড়খাওয়া অনেক নেতাকর্মীই তাকে মেনে নিতে পারেননি। একাংশের বিরোধিতার মধ্যেই নদভী ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় সাংসদ নির্বাচিত হন।
গত ১০ বছরে সাংসদ হিসেবে আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ‘জামায়াত তকমা’ ঘুচিয়ে এলাকায়-দলে প্রভাব-প্রতিপত্তি তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে তার কর্মকাণ্ড বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ আছে, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত নিজের স্বজন ও অনুসারীদের তিনি আওয়ামী লীগে প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যারা ছিলেন, তাদের কোণঠাসা করেছেন।
এর ফলে আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকে পাশে নিয়ে গত দুই নির্বাচনে তিনি বৈতরণী পার হয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন নদভীকে ছেড়ে গেছেন। এমন দুই নেতা হলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডাক্তার আ ম ম মিনহাজুর রহমান এবং সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব।
জানতে চাইলে আ ম ম মিনহাজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করে আমরা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু গত ১০ বছর ধরে যিনি পদে বসে আছেন, তিনি এমন অনেক কাজ করেছেন যাতে দলের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা উনার কাছে নিরাপদ নন, এটা প্রমাণ হয়েছে।’
‘তিনি (নদভী) কখনোই আমাদের দল করতেন না, বাইরের দল থেকে ভাড়া করে এনে উনাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। তিনি আমাদের দলকে নিঃস্ব করে দিয়েছেন। শত শত নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে, জেলে পাঠিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন। আমরা এর অবসান চাই। ভাড়া করা লোক বাদ দিয়ে দলের নিষ্ঠাবান কর্মীকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত বলে মনে করি এবং সে প্রত্যাশায় আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। আমার কনফিডেন্স আছে, দল মনোনয়ন দিলে আমি জিতব,’— বলেন আ ম ম মিনহাজুর রহমান।
এম এ মোতালেব সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। আমি এখন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আছি। মানুষে তো স্বাভাবিকভাবেই পদোন্নতি চায়। এ কারণে আমি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি সুযোগ দেবেন। আমি এখন মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছি, আশা করছি আরও বড় পরিসরে কাজের সুযোগ পাব।’
সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর বক্তব্য জানতে পারেনি সারাবাংলা।
এমপি হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ত্যাগ
সীতাকুণ্ড আসনে দুদফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দিদারুল আলম। ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী তাকে চিনতেন বিএনপি ঘরানার শিল্পপতি হিসেবে। বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম তার চাচা। ২০১৮ সালেও অনায়াসে মনোনয়ন পেলেও এবার হিসেব সহজ নয় বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন এস এম আল মামুন, যিনি সীতাকুণ্ডের আগের তিনবারের সাংসদ আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতিও ছিলেন তিনি। রোববার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। একইদিন সাংসদ দিদারুল আলমও মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
জানতে চাইলে এস এম আল মামুন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুবার যিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হলেও আমাদের দলের লোক ছিলেন না। তিনি কখনো ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ করেননি। মূলত তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি এমপি হওয়ায় আমাদের নেতাকর্মীরা যেমন কোণঠাসা হয়ে আছেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ থেকেও আমরা পিছিয়ে পড়েছি। সেই বাস্তবতায় পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় আমি মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। আশা করি, দল নেতাকর্মীদের আশার মূল্যায়ন করবে।’
জানতে চাইলে সংসদ সদস্য দিদারুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি দুবার এমপি, ১০ বছর ধরে এলাকার মানুষের সেবা করছি। মনোনয়ন অনেকে চাইতে পারেন। গতবার ১৭ জন চেয়েছিলেন। এবার হয়তো আরও বেশি চাইবেন। কিন্তু দল আমার কর্মকাণ্ডের সঠিক মূল্যায়ন করলে আমিই মনোনয়ন পাব। সেক্ষেত্রে দলের সবাই আমার পক্ষেই থাকবেন, এ নিয়ে কোনো দলাদলির সুযোগ নেই।’
দুদিনে যারা মনোনয়ন ফরম নিলেন
চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে এ কে এম বেলায়েত হোসেন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন; চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে জাফরউল্ল্যাহ টিটু, মানিক মিয়া তালুকদার, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ ও জামাল উদ্দিন চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে এস এম আল মামুন, বর্তমান সাংসদ দিদারুল আলম, চৌধুরী মোহাম্মদ জিন্নাত আলী ও রত্নেন্দু ভট্টাচার্য; চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলার সভাপতি আবদুস সালাম, মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউনূস; এবং চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, ইমরানুল কবির, আবুল কালাম ও সাবেক পৌর মেয়র দেবাশীষ পালিত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর একাংশ) আসনে গত দুদিনে একমাত্র হাছান মাহমুদ মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। ২০০৮ সাল থেকে তিনি তিনবার এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ বোস্তামি) আসনে মোবারক আলী, বেলাল হোসেন, সেলিনা খান বাদল, আবদুস ছালাম, এস এম কফিল উদ্দিন, দিদারুল আলম, কাজী শারমিন সুমি, এস এম নুরুল ইসলাম; চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী, বাকলিয়া) আসনে বর্তমান সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মুজিবুর রহমান, দিদারুল আলম ও শহীদুল আলম; চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, খুলশী ও হালিশহর) আসনে কে বি এম শাহজাহান, খোরশেদ আলম সুজন, মো. ইউনূস, সৈয়দ মাহমুদুল হক ও দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া; এবং চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা) আসনে খোরশেদ আলম সুজন, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, এম আব্দুল লতিফ, দেবাশীষ পাল দেবু, রেখা আলম চৌধুরী, জাবেদ ইকবাল ও সওগাতুল আনোয়ার খান মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে চেমন আরা বেগম, সত্যজিৎ দাশ রুপু, হারুনুর রশীদ ও জুলকারনাইন চৌধুরী; চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে শাহজাদা মহিউদ্দিন ও সমীরণ নাথ; চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে কায়কোবাদ ওসমানি, আব্দুল কৈয়ূম চৌধুরী, আব্দুল জব্বার চৌধুরী ও জাহেদুল ইসলাম; চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আব্দুল মোতালেব, সাজেদা সুরাত, মইনুল ইসলাম মামুন, কামরুন্নাহার, আমানউল্লাহ জাহাঙ্গীর, মাঈনউদ্দিন হাসান চৌধুরী, ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান ও এরশাদুল হক; এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আবদুল্লাহ কবির লিটন, জমির উদ্দিন সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান ও আবু নছর মো. সরওয়ার আলম মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
আ ম ম মিনহাজুর রহমান আওয়ামী লীগ প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এম এ মোতালেব এম এ লতিফ এস এম আল মামুন খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয়-নির্বাচন দিদারুল আলম মুজিবুর রহমান মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সংসদ নির্বাচন