ছাত্রলীগ-যুবলীগের মারধরের শিকার সাংবাদিক
২১ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:০৩
ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। এ ঘটনায় তিনি ধানমন্ডি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। ছাত্রলীগ বলছে, হামলায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ধানমন্ডি কেয়ারি প্লাজাসংলগ্ন নর্দার্ন মেডিকেল কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার সাংবাদিক মো. নাহিদ হাসান সাব্বির জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে ধানমন্ডি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও ধানমন্ডি থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের উপপ্রচার সম্পাদক তামজিদ রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সাংবাদিকের ওপর হামলা করে। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এগিয়ে যাননি।
হামলায় আহত সাংবাদিক নাহিদ হাসান বলেন, সংবাদ সংগ্রহের কাজে আমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধানমন্ডি কেয়ারি প্লাজার সামনে যাই। ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি আমার অবস্থান জানতে চান। আমি নর্দার্ন মেডিকেলের সামনে আছি জানালে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি হাজির হন সেখানে। এ সময় যুবলীগের তামজিদের নেতৃত্বে ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে ২০-২৫ জন এসে জিজ্ঞাসা করে, এখানে সাংবাদিক কে? বলেই আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে কোনোভাবে বেঁচে ফিরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছি।
অভিযুক্ত ধানমন্ডি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অন্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে একজন আমাদের এলাকার এক ছোটভাইকে মারধোর করে। এ বিষয়ে জানার জন্য সাংবাদিক পরিচয়ে এক ভাই ফোন দিলে আমি তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু সেখানে মারধরকারীদের দেখে আমি কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে যাই। পথে এলাকার যুবলীগ ও অন্যান্য ছোটভাইদের সঙ্গে দেখা হলে তারাও আমাকে মারার প্রতিবাদে এগিয়ে যায়। এ সময় ওখানে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ভাইও হামলার শিকার হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিজেও চোখেমুখে আঘাত পেয়েছি।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা তামজিদ রহমান বলেন, আমি নিজে সাংবাদিকতার ছাত্র। আমার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ কেউ দিতে পারবে না। ঘটনাস্থলে ওই সাংবাদিক ভাইকে সেভ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তাও আমার বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ, বুঝতে পারছি না।
তবে নাহিদ বলছেন, তাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। করলে এত নির্মম মারধরের শিকার হতেন না তিনি। এ বিষয়ে আপাতত থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। পরে প্রয়োজনে মামলা করবেন তিনি।
এদিকে আহত সাংবাদিক নাহিদকে দেখতে গিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি। তিনি বলেন, হামলাকারীরা অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত হবে। ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর