সহজেই পার পাচ্ছেন না শাহরিয়ার, বিএনপি চায় নতুন মুখ
২৩ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৪০
রাজশাহী: পদ্মা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এক বিখ্যাত জেলার নাম রাজশাহী। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এর পরিচিতি রেশম দিয়ে। রাজশাহীকে বলা হয়ে থাকে সিল্কসিটি। এছাড়াও এই জেলা শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত। তবে ইদানিং রাজশাহীকে আমের রাজধানীও বলা হয়ে থাকে। রাজা ও জমিদারদের কারণে এই জেলার নামকরণেও ছাপ রয়েছে। এখানকার প্রাচীন স্থাপনাগুলো বহন করে চলছে রাজা ও জামিদারদের ঐতিহ্য।
৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সবধরনের রাজনৈতিক আন্দোলনে যে জেলার অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে সেটি রাজশাহী। বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের জন্মভূমি এই রাজশাহী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে এই জেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। রাজশাহী থেকে ভাষা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু, প্রয়াত সাঈদউদ্দিন আহমেদ, প্রয়াত আবুল হোসেন, মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, প্রয়াত মনোয়ারা রহমান ও আবদুর রাজ্জাক। এই জেলায় পাকবাহিনীর হাতে প্রথম শহিদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শামসুজ্জোহা। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই জেলার অনেক মানুষ শহিদ হয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মারা হতো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষদের। স্বাধীন দেশে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর জেলখানায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রাজশাহীর সন্তান জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান।
রাজশাহীকে এক সময় বলা হতো বিএনপির ঘাঁটি ও মৌলবাদীদের আস্তানা। তবে পিছিয়ে ছিল না প্রগতিশীল আন্দোলনও। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। মূলত তখনই রাজনীতি থেকে অবস্থান হারাতে শুরু করে বিএনপি। সে সময় রাজশাহীর ছয়টি আসন থেকে পাঁচটিতে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। আর একটিতে জয় পায় ওয়ার্কার্স পার্টি। বর্তমানে রাজশাহীতে বিএনপি তার অবস্থান হারিয়েছে। এই সময়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনে বিশাল শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
রাজশাহীর ছয়টি আসন থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এই জেলার কয়েকটি আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যাও কম নয়। তারাও কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন অনেকে। এর আগে তারা মিছিল-মিটিং, শোডাউন, পথসভা উঠান বৈঠক করেছেন। এবারও জাতীয় পার্টি মহাজোটে থেকে নির্বাচন করছে। আর রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি রয়েছে আন্দোলনে। তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে ভোটের হিসাব-নিকাশ কিছুটা হলেও পাল্টে যাবে। কারণ, তারাও দুয়েকটি আসন দখলে ভোটের মাঠে নামবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক পরিক্রমায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে থাকছে রাজশাহী-৬ (বাঘা ও চারঘাট) আসনের চিত্র।
আরও পড়ুন:
- আ.লীগে কোণঠাসা এনামুল, নতুন মুখের সন্ধানে বিএনপি
- আ.লীগে মনসুর-ওয়াদুদ দ্বৈরথ, বিএনপিতে নাদিম-নজরুল
- বাদশাকে আর ছাড় দিতে চায় না আ.লীগ, মিনুর পথও সহজ নয়
- আ.লীগে আয়েনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদ, বিএনপিতে মিলন এগিয়ে
- ফারুককে হটাতে চান ডালিয়া, বিএনপিতে দেবর-ভাবি-ভাগ্নের লড়াই
ভারত ও বাংলাশের সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঘা ও চারঘাট। পদ্মা পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠা এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৬ আসন। স্বাধীনতার পর এ আসনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দু’টি উপ-নির্বাচনসহ সাতটি সংসদীয় নির্বাচনের চার বার আওয়ামী লীগ, তিন বার বিএনপি ও একবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হন।
১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এখানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯১ সালে প্রয়াত আজিজুর রহমান এবং ২০০১ সালে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত কবির হোসেন বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলেন। আর ১৯৯৬ সালে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আলাউদ্দিন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আনিসুর রহমান। তবে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিএনপির মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের ফিরে যান ডা. আলাউদ্দিন। তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হলে ১৯৯৭ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ফের তিনি এমপি হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
এর পর ১৯৯৯ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর ওই আসনের উপ-নির্বাচনে এখানে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা রায়হানুল হক রাহয়ান বিজয়ী হন। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু। ২০০১ সালের নির্বাচনে রায়হানুল হক রায়হান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও সেবার বিদ্রোহী প্রার্থী হন বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী। তার বিদ্রোহের কারণে বিএনপির প্রার্থীর কাছে হেরে যান রায়হান। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন ছিনিয়ে নেন শিল্পপতি শাহরিয়ার আলম। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা হওয়ার পর শাহরিয়ার আলম নিজ দলের নেতাকর্মীদের তুমুল বিদ্রোহের মুখে পড়েন। এমনকি এলাকায় শাহরিয়ার আলমকে অবাঞ্চিতও ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। তবে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে ২০০৮ সালে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে তৃতীয়বারের মত এমপি হন শাহরিয়ার আলম। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা রায়হানুল হক রায়হান বিদ্রাহী প্রার্থী হন। এ নির্বাচনে অন্য দলের প্রার্থী না থাকায় বিদ্রোহীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিপুল ভোটে জয় পান এই শিল্পপতি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি চতুর্থবারের মত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন।
শাহরিয়ার আলম ছাড়াও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে এ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সাবেক এমপি রাহেনুল হক রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চারঘাট আওয়ামী লীগের এক নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে এলাকায় সময় দিতে পারেন না পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট বলয়ে আটকে আছেন তিনি। ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তার কাছে গিয়ে তাদের সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না। এতে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে রয়েছে সংসদ সদস্যকে কাছে না পাওয়ার ‘মনোকষ্ট’। যেখান থেকে বাড়ছে দলীয় বিভেদও। ফলে এবার তিনি মনোনয়ন পেলে নেতাকর্মীদের মান-অভিমান ভাঙাতে বড় চ্যালেঞ্জর মুখে পড়তে হবে।’
এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় সরকারি দলের সব ক্ষমতা এখন গুটিকয়েক নেতার হাতে। তাদের বাহিরে আর কারও কথা কেউ শুনে না, মানেনও না। আর এ সুযোগে নানা অনিয়ম করে ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছেন প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্টজন নেতা ও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচিত অনেকেই।’ তারা সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে একটি বলয়ের মধ্যে রেখে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাজশাহী-৬ আসনে তৃণমুল থেকে ঠিক করা হবে কে প্রার্থী হবেন। তবে যেই প্রার্থী হোন না কেন তাকেই আমরাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতারা সমর্থন দেবো। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন কে প্রার্থী হবেন।’
১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তিনবার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। এবার এ আসনে দলটির মনোনয়ন চান স্থানীয় পাঁচ নেতা। তবে তারা সবাই নতুন মুখ। এর আগে তাদের অনেকেই একাধিকবার দলের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়েছেন। যাদের অনেকেই ইতোমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্ততি নিয়ে মাঠে থেকে দল সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন। নিজের পক্ষে সমর্থন আদায়ে তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তারা। ফলে দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রয়েছে নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব।
এ আসনে এবার মনোনয়ন চাইবেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চারঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাইদ চাঁদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, ৮০ দশকের ছাত্র নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন উজ্জল।
এদের মধ্যে আবু সাইদ চাঁদ এক সময় জাসদ ও পরে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। কখনো বিতর্কিত, আবার কখনো জনপ্রিয় নেতা হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ও চারঘাট বিএনপির সভাপতির পদে স্থান করে নেন আবু সাঈদ। তবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি দুই বার দল থেকে বরখাস্তও হয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন উজ্জল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। অপরদিকে, ৮০ দশকের ছাত্র নেতা হিসেবে পরিচিত দেবাশীষ রায় মধু রাজশাহী কলেজ, গোলাম মোস্তফা মামুন সিটি কলেজ ও নুরুজ্জামান খান মানিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের গুরুত্বপুর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে দল জাতীয় অংশ নেবে না। সরকার যদি দাবি মেনে নেয় এবং বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে তখন ঠিক করা হবে কে প্রার্থী হবেন। তবে দলে ও সাধারণ মানুষের কাছে যে বেশি জনপ্রিয় তিনিই মনোনয়ন পাবেন।’
তবে এই আসনে জাতীয় পার্টির কেউ এখনও প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি। ২০১৮ সালে শিল্পপতি শাহরিয়ার আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুস সালাম সুরুজ। এবারও তিনি নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া ও দুর্গাপুর) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪ হাজার ২৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৯০ জন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন শাহরিয়ার আলম। তিনি ওই সময় পান ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আজিজুর রহমান পান ৯৯ হাজার ১১২ ভোট। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের টিকিট পান শাহরিয়ার। ওই নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাহেনুল হকের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু তিনি খুব সহজেই সেই নির্বাচনে জিতে যান। নির্বাচনে শাহরিয়ার আলম পান ৭০ হাজার ১১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক পান ২১ হাজার ৪৬৩। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন শাহরিয়ার আলম। ওই নির্বাচনে শাহরিয়ার ২ লাখ ২ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের আব্দুস সালাম সুরুজ হাতপাখা প্রতীকে পান ৭ হাজার ৮৭১ ভোট। ওই আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী ছিল না।
সারাবাংলা/এমই/পিটিএম
আনোয়ার হোসেন উজ্জল আবু সাইদ চাঁদ কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা গোলাম মোস্তফা মামুন চারঘাট ও বাঘা তৌহিদ আল তুহিন দেবাশীষ রায় মধু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রাজশাহী-৬ রাহেনুল হক রায়হান লায়েব উদ্দিন লাভলু