Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নারীর প্রতি সহিসংতা বন্ধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৮

ঢাকা: নারীর প্রতি সবপ্রকার বৈষম্য ও সহিসংতা বন্ধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি করেছেন নারী নেতারা। তারা বলেছেন, ঘরে-বাইরে সর্বত্র নারীরা নির্যাতনের শিকার। কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের পিছিয়ে রেখে জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী নির্যাতন বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে হবে এবং সেই বাস্তবায়নে আগামীতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ‘নারীর জন্য বিশ্ব গড়ো, পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করো, সহিংসতা প্রতিরোধ করো’ এই প্রতিপাদ্য সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য রাখেন বিএনপিএস’র নির্বাহী পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর।

বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিএনপিএস’র ইয়ুথ গ্রুপের প্রতিনিধি মাহমুদা আকন্দ। বক্তৃতা করেন বিএনপিএস’র কর্মসূচি সমন্বয়কারী মনিরুজ্জামান মুকুল, নারীনেত্রী মাসুদা রওশন, বিএনপিএস’র ঢাকা (পূর্ব) কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শেলিনা পারভীন ও ঢাকা (পশ্চিম) কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. হেলালউদ্দিন, স্কুলছাত্রী পুষ্পিতা ও রাশেদা।

সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, ‘হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে নির্দয়ভাবে হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। এই যুদ্ধ ও হত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হলেও আগামী দিনে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিয়ে কোনো আলোচনা বা প্রতিশ্রুতি দেখা যাচ্ছে না। বরং নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ অতীতে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সংখ্যাল্প জনগোষ্ঠী এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি বীভৎস নির্যাতনের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে দেখেছে দেশবাসী। তাই আগামীতে নারী ও সংখ্যাল্প জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’

নারী নেত্রী শাহনাজ সুমী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে হবে এবং এই বিনিয়োগ নারীর জন্য কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য নয়, এ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে নারীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।’

সমাবেশে বক্তারা, নারীর প্রতি সবপ্রকার বৈষম্যমূলক আইনের পরিবর্তন; নারী নির্যাতনকারীকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ; প্রতিটি থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার চালু; ওয়াজ মাহফিলসহ সবপ্রকার ধর্মীয় সভায় নারীবিরোধী বক্তব্য আইন করে বন্ধ; যৌন সহিংসতা বন্ধে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষার সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

সারাবাংলা/আরএফ/এমও

নারী রাজনৈতিক অঙ্গীকার সহিংসতা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর