Monday 02 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এবারও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি না: টিআইবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৫ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:১৫

ঢাকা: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এ পর্যবেক্ষণে আমাদের বদ্ধমূল ধারণা হচ্ছে যে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বলতে যা বোঝায়, তা আমরা এবারও দেখতে পাচ্ছি না। এটি আমাদের উদ্বেগের বড় কারণ।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চর্চার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, নির্বাচনি শুদ্ধাচার চর্চা, আইনের শাসন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, তথ্য অধিকার, তথ্য ও উপাত্ত সুরক্ষা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ, আর্থিক খাত ও সরকারি ব্যয়ে সুশাসন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ুর পরিবর্তন শীর্ষক ১২টি আলাদা পয়েন্টে ৭৬ দফা সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হয়ত এই নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা অধিষ্ঠিত থাকবেন সেটিও নির্ধারণ করার সুযোগ হবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটের অধিকারের যে নির্বাচন সেটি নিশ্চিত করা যাবে না। এই নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা বা ভোটের ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে বহাল থাকায় নির্বাচনে দলীয় বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, স্বার্থের দ্বন্দ্ব মুক্ত ভূমিকা পালন করার জন্য। যখন একটি দল ক্ষমতায় নির্বাচিত হয়, সেই দলটি দেশের সরকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। তখন সেই সরকার আর কোনো দলের সরকার থাকে না। কিন্তু সেই সরকারের সরকার প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে প্রতীকী অর্থে হলেও সবার সরকার প্রধান হিসেবে বা সব দলের সরকার হিসেবে নিজেকে তার ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সংসদের স্পিকারের ক্ষেত্রেও একই কথা। স্পিকার যখন নির্বাচিত হন তখন আর কোনোদলের প্রতিনিধি থাকেন না। তখন তিনি সব এমপির স্পিকার। প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের ক্ষেত্রে এই দুই বিষয় নিশ্চিত করতে পারলেই স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত ভূমিকা অর্জন করা সম্ভব। এই পরামর্শগুলো আমরা আজকে নতুন দিচ্ছি না।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালেও আমরা একই পরামর্শ দিয়েছি। সে সময় নির্বাচনের পরেও আমরা এই পরামর্শ দিয়েছিলাম, তবে কাজ হয়নি। তা সত্ত্বেও আমরা এই পরামর্শগুলো দিয়ে যাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনসহ তথ্য অধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে ৯টি ক্ষেত্রে ৭৬টি সুপারিশ করেছে টিআইবি। সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পুনরায় না ভোটের প্রচলন করা। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সংসদীয় আসনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল বাতিল করার ক্ষমতা রহিত করার মাধ্যমে ইসির ক্ষমতা সংকুচিত করার ধারা পরিবর্তন করা। বিচার বিভাগের নিয়োগ, পদায়ন ও বদলিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা। সৎ সরকারি কর্মচারীদের হয়রানি বন্ধ করা ইত্যাদি।

সারাবাংলা/জিএস/ইআ

টপ নিউজ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর