নির্বাচন ঠেকাতে এক হচ্ছে সরকারবিরোধীরা, বাদ জামায়াত
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:২৭
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে এক হচ্ছে সরকারবিরোধীরা। এ লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামকে বাদ দিয়ে রাজপথে আন্দোলনরত অন্য সব রাজনৈতিক দলগুলো এক মঞ্চ থেকে আন্দোলন করবে। এই মঞ্চের নাম ‘সর্বদলীয় ঐক্যমঞ্চ বা প্ল্যাটফর্ম’ রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর বা এর আগেই ‘সর্বদলীয় ঐক্যমঞ্চ’ আত্মপ্রকাশ হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে রাজপথে সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনরত বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্রমঞ্চসহ শরিক অন্য দলের আলোচনা অব্যহত রয়েছে। তবে ‘গ্রেফতার আতংকে’ আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে বৈঠক করবেন না বিরোধী দলের নেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, যেকোন মূল্যে আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চলমান অবরোধ কর্মসূচির বাইরে, হরতাল, জেলা ও থানা পর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ঘেরাওসহ কঠিন কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে আগামী ১০ ডিসেম্বরের পরে র্যাব, পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বাণিজ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। এমন আভাস পেয়ে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আগের তুলনায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য ভিন্ন ফরমে কঠিন কর্মসূচি নিয়ে আমরা ভাবছি। একমঞ্চ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা বা পথ চলার জন্য সবাইকে নিয়ে এক প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব নিয়ে আলোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করতে আমরা সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে চাই। আগামী শুক্র ও শনিবার এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বৈঠক আছে। তবে এই বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।’
সম্ভাব্য জোটের অপর এক নেতা জানান, আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে গণমিছিল, সভা-সমাবেশ এবং ডিসেম্বরের শেষের দিকে ‘সর্বদলীয় ঐক্যমঞ্চে’র ব্যানারে একটি বৃহত্তর সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনরত বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মীই জেলে। যারা বাইরে রয়েছেন তারা গ্রেফতার আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আন্দোলন করতে কর্মীরা মাঠে নামতে ভয় পায়। সেজন্য ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কঠিন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে আন্দোলনরত সব দল।’
সেইসব কর্মসূচিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে এখন থেকে জেলা, উপজেলাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে বলেও জানান এই নেতা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও