যাচাই-বাছাই শেষে টিকলেন ১৯৮৫ প্রার্থী
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৯
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থিতা সঠিক বলে ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিপরীতে ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সারাদেশের ৩০০ আসনকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রার্থিতা বাতিলের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলে ২৭৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এই অঞ্চলে বর্তমানে প্রার্থীর সংখ্যা ২০৯ জন। অন্যদিকে, ঢাকা অঞ্চলে ৪৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এখানে প্রার্থী থাকল ৩১৭ জন। কুমিল্লা অঞ্চলে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৩৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২০ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে প্রার্থীর সংখ্যা ২৩৫ জন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৯৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও প্রার্থিতা নিশ্চিত হয়েছে ১৫৪ জনের। এই অঞ্চলে যাচাই-বাছাই শেষে ৪৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। সিলেট অঞ্চলে ১৬০ জন প্রার্থীর মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ৩৫ জনের মনোননয়নপত্র। এই অঞ্চলে বর্তমানে প্রার্থী রইল ১২৫ জন। ফরিদপুর অঞ্চলে ১০৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বর্তমানে প্রার্থী রয়েছেন ৮০ জন। অন্যদিকে, রাজশাহী অঞ্চলে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৩৬৯ জন। যাচাই-বাছাই শেষে ১০৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এখানে বর্তমানে প্রার্থী রয়েছেন ২৫৯ জন। খুলনা অঞ্চলে মোট প্রার্থী ছিল ৩২২ জন। প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ৯৪ জনের। বর্তমানে প্রার্থী হিসেবে রইলেন ২৯৮ জন। এছাড়াও বরিশাল অঞ্চলে ১৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থী রইল ১৩৫ জন। ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৩২৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও বাতিল হয়েছে ৮৪ জনের। প্রার্থিতা বহাল রয়েছে ২৪৩ জনের।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম