Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৮ অক্টোবর পুলিশ হত্যার প্রসঙ্গ ইউএসআইপির প্রতিবেদনে

সারাবাংলা ডেস্ক
৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪২

ঢাকা: গত ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পরবর্তীতে বিরোধী দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধে গাড়িতে ব্যাপক অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল থিংকট্যাংক ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি)-এর একটি প্রতিবেদনে।

ইউএসআইপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী সমর্থকরা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করেছে। একটি পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে এবং সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বব্যাপী সহিংসতা প্রতিরোধ ও মারাত্মক সংঘর্ষ প্রশমনে নিবেদিত স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান হলো ইউএসআইপি। ১৯৮৪ সালে মার্কিন কংগ্রেস ইউএসআপি গঠন করে।

‘নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা রাজপথে ছড়িয়ে পড়েছে’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি দাবি করেছে, তাদের সমর্থকদের সহিংসতার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দেওয়া হয়েছে অথবা তাদের প্রতিবাদকে হেয় করার জন্য সরকার নাশকতা চালিয়েছে। কিন্তু সহিংসতা এবং স্থাপনা ধ্বংসে বিএনপির ভূমিকা বিশ্বাসযোগ্যভাবে অস্বীকার করা যায় না।

ইউএসআইপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বানচাল সমাবেশের পর বিরোধী দল কৌশল পরিবর্তন করেছে। ধর্মঘট এবং অবরোধের মাধ্যমে সারা দেশে পরিবহন ও বাণিজ্য অচল করার কর্মসূচি ডাক দিয়েছে তারা। বিরোধী নেতৃত্বাধীন অবরোধের প্রথম দুই সপ্তাহে অন্তত ১০০টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। বিএনপি আবারও এই সহিংসতায় সরকারের যোগসাজশের প্রমাণ দিচ্ছে, কিন্তু তাদের সমর্থকরা অনেক ক্ষেত্রেই এসব সহিংসতায় জড়িত। সরকারের দাবি, অবরোধ এবং সহিংসতায় অর্থনীতির বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের ভূমিকাও উঠে এসেছে ইউএসআইপির প্রতিবেদনে। এতে পশ্চিমা সরকারগুলোর উপর বিএনপির নির্ভরতার প্রসঙ্গে বলা হয়, গত দুই বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য পশ্চিমা সরকারগুলো— রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখে— বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য চাপ দিয়েছে। বিরোধীরা এই বাহ্যিক চাপকে লুফে নিয়েছে। বিএনপি ধারাবাহিকভাবে মার্কিন নীতি এবং বিবৃতির প্রশংসা করেছে। একজন বিএনপি নেতা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তার দলের ত্রাণকর্তা বলে অভিহিত করেছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিএনপি নির্বাচন বয়কটের বৈধতা হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্নাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন না পাঠানোর সিদ্ধান্তকে উদ্ধৃত করেছে। বিএনপি দাবি করেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনুকূল নয় তা ইইউর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। ২৮ অক্টোবর সহিংস সংঘর্ষের পর বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমা সরকারগুলোর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

অন্যদিকে, ভারত ও চীন বাংলাদেশ ইস্যুতে তাদের স্থিতাবস্থা আরও জোরদার করছে। যদিও ভারত বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে, তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচনকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি। পশ্চিমাদের চাপের মুখে আওয়ামী লীগ দিল্লির এই কূটনৈতিক সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে।

চীন বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে আসছে। সম্প্রতি দেশটি বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হওয়া উচিত উচিত। এই বিবৃতিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি অবস্থান বলে আখ্যা দিয়ে চীনের নিন্দা করেছে বিএনপি।

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর