আপিল শুনানির প্রথম দিন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৫৬ জন
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:২০ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:১৬
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নসংক্রান্ত আপিল শুনানির প্রথম দিন ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। প্রথমদিন আপিল শুনানিতে ১০০ জন প্রার্থী অংশ নেন। এর আগে মনোনয়ন বাছাইয়ে বাদ পড়া ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রয়েছেন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে সন্তুষ্ট না হলে প্রার্থীর উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আপিল শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সময় অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সূত্র জানায়, আপিল শুনানির প্রথমদিনে ১০০ জন প্রার্থীর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ছয় জন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে ৯৪ জন প্রার্থীর শুনানি হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫৬ জন প্রার্থী। এছাড়া ৩২ জন প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। আর ছয় জন প্রার্থীর বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানায়।
জানা গেছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়াম (বেজমেন্ট-২) এ আপিল আবেদনের শুনানি প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ৯৫ থেকে ২০০ নম্বর আপিল, ১২ ডিসেম্বর ২০১ থেকে ৩০০ নম্বর আপিল, ১৩ ডিসেম্বর ৩০১ থেকে ৪০০ নম্বর আপিল, ১৪ ডিসেম্বর ৪০১ থেকে ৫০০ নম্বর আপিল এবং ১৫ ডিসেম্বর ৫০১ থেকে অবশিষ্ট আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রার্থিতা বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময়সীমা শেষ হয়েছে শনিবার (৯ ডিসেম্বর)। গত ৫ ডিসেম্বর আপিল আবেদন শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫৬১টি জমা পড়েছে। প্রথম দিন ৪২, দ্বিতীয় দিন ১৪১, তৃতীয় দিন ১৫৫, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং শনিবার ১৩০ জন আপিল আবেদন করেন। এসব আপিল আবেদনের মধ্যে ৩২টি আবেদন পড়েছে বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে।
উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে হিসাবে গত ৩০ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন পর্যন্ত দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে চার ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষে এক হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। পরে ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের আপিল শুরু হয়ে চলে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে ৫৬১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করে। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানি চলবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি ।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম