‘রেললাইন কাটার মাস্টার মাইন্ডদের খোঁজা হচ্ছে’
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:০৪
ঢাকা: গাজীপুরের বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হলে একজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ ঘটনার মাস্টার মাইন্ড অর্থাৎ প্ল্যানার যারা সবাকেই চিহ্নিত করব এবং শিগগিরই ধরতে পারব।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল রেললাইন কাটার ফলে যে জায়গায় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই জায়গায় জনমানব থাকে না, বসতি নেই। কুয়াশা ছিল। ফলে ঘটনাটি ঘটেছে। এর জন্য দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার রেললাইন। তারা টার্গেট করেছে, যেখানে মানুষজন থাকে না সেখানে দুর্ঘটনা ঘটানোর। টার্গেট করে লোকচক্ষুর আড়ালে তারা ঘটনা ঘটিয়েছে। রেল মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে ফোর্স চেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস দেখেছেন। তখনও রেললাইন উপরে ফেলা হয়। জানমালের তো ক্ষতি হয়েছে; সে সময় নিরীহ মানুষও হত্যা করা হয়েছিল সে দৃশ্যও আপনারা দেখেছেন। এবারও আমরা লক্ষ্য করছি, তারা শুধু গাড়ি পোড়াচ্ছে না রেললাইন উপরে ফেলেছে। যাতে একজন নিহত। সাতজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তারা মানুষের জীবন তোয়াক্কা করে না। তারা অসাংবিধানিক উপায়ে কীভাবে আবার অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে সরকার পতন করা যায় সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের জনগণ তাদের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেটা তারা স্পষ্ট জানেন। সেজন্য নির্বাচন না করে এ ধরনের ঘটনার অবতারণা করছে। আমরা মনে করি, দেশের জনগণ এসব ঘটনার সঠিক জবাব দেবে।’
আরও বলেন, ‘গাড়িতে যারা আগুন দিচ্ছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা অগ্নিসংযোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তারা রাস্তার টোকাইদের ২/৩ হাজার টাকা কন্ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছে। যারা নিয়ে যাচ্ছে তাদের নাম বলে দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অলরেডি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। বাসে যারা আগুন দিচ্ছে, হয় তারা জনগণের কাছে ধরা পড়ছে, বা পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘রেললাইন উপরে ফেলা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা দেশকে ভালোবাসে তারা এ কাজ করতে পারে না। আমরা এ ঘটনা ২০১৪ সালেও দেখেছি। আরও অনেক সময় দেখেছি। বিএনপির অনেক নেতা এসব চায় না। কিন্তু যারা বিদেশে অবস্থান করছে তাদের নির্দেশনায় বিএনপির একটি অংশ এসব করছে।’
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম