Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তৌহিদুলের লাশ উদ্ধার: সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতে রুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৬

তৌহিদুল ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে অপহৃত কিশোর তৌহিদুল ইসলামের (১৯) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, যথাযথ এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত আদেশে বলেছেন, এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য এবং নিয়মিত তদারকি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও তদারককারী সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হলো। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে বলে আদেশে জানান আদালত।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জনস্বার্থে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত, যথাযথ এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ নিয়মিত তদারকির জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসক এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট আদালত, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, জেলা প্রশাসক, গুলশান জোনের পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি), গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা বরাবরে বিষয়টি অবগতির ও পরিপালনের জন্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর আগে ‘মুক্তিপণের ৩০ লাখ টাকাও জোগাড় করেছিলেন, কিন্তু ছেলের ক্ষতবিক্ষত লাশ পেলেন মা-বাবা’, শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী নুরুল হুদা আনসারী। বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করে সুয়োমোটো রুলের আর্জি জানান আইনজীবী নূরুল হুদা আনসারী। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে, গতকাল (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তৌহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্বভার ভাটারা থানা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের আদেশপত্র পাঠানো হয়।

তৌহিদুল পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে ৪ নম্বর সড়কের থাকতেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।

গত ২৩ নভেম্বর রাতে কে বা কারা তৌহিদুলকে ডেকে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জুয়েল রানা (২৮) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ২৬ নভেম্বর সকালে বসুন্ধরার ‘পি’ ব্লকের একটি ছনক্ষেত থেকে তৌহিদুলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মামলার বাদী তৌহিদুলের বাবা নবী হোসেন ভাটারা থানা-পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি মামলার তদন্তভার ডিবিকে দেওয়ার জন্য ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের কাছে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস

তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদুলের লাশ উদ্ধা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর