‘অটোপাস-রাতের ডাকাতির পর এবার ডামি নির্বাচন’
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে অটোপাস এবং ২০১৮ সালে রাতের ডাকাতির পর এবার আরেকটি ভাগাভাগির ডামি নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ির নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের মাঠে নগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাক হানাদার বাহিনীর মতো বর্তমান সরকারও নির্যাতন চালাচ্ছে মন্তব্য করে শাহাদাত বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবিদের তুলে নিয়ে হত্যা করেছিল, আজ বর্তমান সরকারও একই কায়দায় মানুষের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে। আজও একইভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা করে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে।’
‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে শেখ হাসিনার দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বিজয়ী ঘোষণা করতে শত কোটি টাকা নষ্ট করে নির্বাচন কমিশন আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে অটোপাস নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে রাতের ডাকাতির পর এবার আরেকটি ভাগাভাগির ডামি নির্বাচন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও উৎসবমুখর পরিবেশের পরিবর্তে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিএনপির সক্রিয় নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিচার বিভাগের মাধ্যমে বেছে বেছে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া মানুষ এখন গ্রেফতারের ভয়ে পলাতক এবং অনেক গ্রাম মানুষহীন হয়ে পড়েছে।’
‘নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া তালিকানুযায়ী বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে। গণভবন থেকে যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা নির্বাচনের রাতেই পড়ে শোনানো হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন এখন কৌতুকে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে।’
‘বর্তমানে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন এখন একটি কৌতুক, প্রহসন এবং ব্যবসার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কারণ জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার ক্ষমতা হারিয়েছে। আসন বণ্টনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সহানুভূতি ও করুণায় জনপ্রতিনিধি তৈরি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতি রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। এভাবে মাফিয়া সরকার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে এ খেলা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বানচাল করা হবে।’
নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, একরামুল করিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নসরুল কদির, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক ও জেলা ড্যাবের সভাপতি তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক।
সারাবাংলা/আইসি/একে