Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৫

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় দিন দিন বেড়ে চলছে শীতের তীব্রতা। সারা দিন রোদের দেখা মিলছে না বললেই চলে। ঘনকুয়াশা ও হিমেল হাওয়া দিচ্ছে হাড় কাঁপানো অনুভূতি।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ; সকাল ৯টায় যা ছিল ৯২ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আর কমবে না ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র আকারের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।

এর আগের দিন বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। উত্তুরে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের মাত্রা। সন্ধ্যা নেমে আসার পর পরই জেলার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। সকালে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত কুয়াশার আধিক্য থাকছে প্রকৃতিতে। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করছে।

বিজ্ঞাপন

তীব্র শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে মানুষের। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

ইটভাটার শ্রমিক শাহাবউদ্দিন বলেন, ভোরে কাজে আসতে হয়। কাদামাটির কাজ করতে হয়। প্রচণ্ড শীতে হাত-পা বরফ হয়ে যায়।

পরিবহন শ্রমিক আজাদ মিয়া বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ । প্রতিদিন কাজ না করলে সংসার চলে না। কয়েকদিন যাবত অতিরিক্ত কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। আয়-রোজগারও কমে গেছে।

সারাবাংলা/এনইউ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর