ব্যাংক খাতে ১৫ বছরে ৯২২৬১ কোটি টাকা লোপাট
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৭
ঢাকা: ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হয়েছে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ঋণ, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ঋণ, অর্থ লোপাটসহ নানান ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় সিপিডি‘র ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, জ্যেষ্ঠ পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে যে স্ক্যাম বা অনিয়মগুলো হয়, সেগুলো অফিসিয়াল সূত্রে পাওয়া যায় না। সেগুলো সংবাদমাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমকর্মীরা সেগুলো হয়তো অফিসিয়াল সূত্রেই আনেন। এগুলোকে কম্পাইল করেছি দেখার জন্য। ২০০৮-২৩ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে ২৪টি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন টাকা বা ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ বা অপচয় হয়েছে। বিশাল এ অর্থ দিয়ে কী হতে পারে সেটা আপনারা হিসাব করতে পারেন। হিসাব করতে পারেন আমাদের রাজস্ব ঘাটতি কত। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কত ব্যয় হচ্ছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে কত ব্যয় করছি। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে আমরা কী করতে পারতাম।
তিনি আরও বলেন, এ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে। ব্যাংকে যে টাকা, সেটি জনগণের টাকা। সেটা কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং খাতে নিয়মকানুন বাস্তবায়ন ও সংস্কার একেবারেই জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা গত জুলাই থেকে অক্টোবর এই তিন মাসে আরে বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। তারপরেও এই অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার কমেছে। এছাড়াও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে। পাশাপাশি তৈরি পোষাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে অস্থিরতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি রোধ করতে না পারায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। রিজার্ভ চাপে পড়াসহ এ সকল কারণে দেশের অর্থনীতি চাপের মুখে রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক চাপের মুখে রয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ