‘হামলায় মামলা হচ্ছে, তবে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি’
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৪
ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় কিছু এলাকায় স্থানীয়্ভাবে মামলা করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে এখনও কোনো প্রার্থীর বিষয়ে প্রার্থিতা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এ নির্বাচন কমিশনার। এসময় তিনি একথা জানান। এছাড়া আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা কঠোরভাবে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, ‘শোকজ রিটার্নিং অফিসার-সহকারী রিটার্নিং অফিসার করছে, নির্বাহী-বিচারিক হাকিমের কমিটি করছে; ইসির পক্ষ থেকে সরাসরি শোকজ করছি না দুয়েকটা ছাড়া। মাঠে শোকজ করার পর জবাব দিচ্ছে, এসব প্রতিবেদন আসছে ইসিতে। কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে একাধিকবার, গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে আদালতেও পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, ইসির নিয়ম অনুযায়ী যা করার তা করা হচ্ছে। কমিশন সরাসরি একজনকে ডাকা হয়েছে (আমির হোসেন আমু) এবং তিনি এসে জবাব দিয়েছেন। যেভাবে সোশাল মিডিয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রকাশ হয়েছে, বাস্তবে তা হয়নি; এডিটিং করে প্রকাশ করা হয়। তবুও পরবর্তীতে আচরণবিধি মানার বিষয়ে সাবধান হবে বলে জানিয়ে গেছেন এ প্রার্থী।
কুমিল্লার বাহাউদ্দিন বাহারের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রতিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন এলে দেখা যাবে। অনুসন্ধান কমিটি তাকে তিনবার শোকজ দিয়েছে, সেসব প্রতিবেদনে উঠে আসবে কী ঘটেছিল। প্রতিবেদন আসার পর বিচার বিশ্লেষণ করা দেখা হবে। প্রতিবেদনে কি এলো, তা পেয়ে তারপর সিদ্ধান্ত হবে।’
নির্বাচনি সহিংসতার অভিযোগে একজন নির্বাচন কমিশনার কারও না কারও প্রার্থিতা বাতিলের কথা বলেছিলেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মো. আলমগীর বলেন, ‘যিনি বলেছেন তাকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। আমি তো এমন কথা বলতে পারি না।’
নির্বাচনি এলাকায় হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা হচ্ছে বলেও জানান মো. আলমগীর। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা ঘটছে সেখানে সাথে সাথেই মামলা হচ্ছে। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে নরসিংদী, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী এলাকায় এমন তথ্য রয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘ভোটে প্রার্থী কম নয়, কোনো আসনই আন-চ্যালেঞ্জড যাচ্ছে না। প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি রয়েছেন। প্রত্যেক প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, ছাড় দিচ্ছেন না। প্রতিযোগিতা নেই একথা বলা যাবে না। তবে আচরণবিধি নিয়ে ছোটখাটো ঘটনাও ঘটার প্রবণতা রয়েছে। নির্বাচডি ডামাডোলে সবাই ব্যস্ত। প্রচারকে ঘিরে ছোটোখানে কিছু ঘটনা (আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি) ঘটতে পারে। বাংলাদেশের সব নির্বাচনে এ ধরনের ঐতিহ্য রয়েছে, এটা ব্যতিক্রম না।’
‘আমরা যেটা করছি, সব জায়গায় কঠিন বার্তা দেওয়া হচ্ছে- বিভাগীয়, জেলা সফরে বলা হয়েছে, পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠিন থাকতে হবে। বুঝতে হবে- আচরণবিধির মাত্রাও দেখতে হবে। ছোট আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বড় শাস্তি দেওয়া যাবে না, আবার বড় আচণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ছোট শাস্তি দেওয়া যাবে না। এটা যথাযথ হতে হবে, বলেন ইসি আলমগীর।
সারাবাংলা/জিএস/এমও