সুন্দরবনের জলবায়ু পরিবর্তন, কাজ করবে আরণ্যক ও খুবি
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪১
ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে একসঙ্গে কাজ করবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও আরণ্যক ফাউন্ডেশন। একইসঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বিকাশে যৌথ কার্যক্রম হাতে নেবে এই দুই প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় বন, পরিবেশ, ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে আরণ্যক ফাউন্ডেশনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে। গবেষক ও বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগকেও জোরদার করতে একমত হয়েছে স্বাক্ষরকারী দুই প্রতিষ্ঠান। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে যৌথভাবে প্রাসঙ্গিক কর্মশালা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। সমঝোতা স্মারকের আওতায় আরণ্যক ফাউন্ডেশনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।
সমঝোতা স্মারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের পক্ষে এর চেয়ারপারসন ও শাহজালান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেডএম মনজুর রশীদ সই করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসাইন পিএইচডি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ মো. বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গত ২০ বছর ধরে দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে আরণ্যক ফাউন্ডেশন। অন্যদিকে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৯টি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ