‘বিনামূল্যে ভাতা-চাল-বই দেব, ভোটটা পাব না?’
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ বিনামূল্যে ভাতা, চাল, বই, রাস্তাঘাট সব দিলে ভোটটা কেনো পাবে না বলে প্রশ্ন করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় আসা সাধারণ মানুষকে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ঈদ, পূজা-পার্বণে ১৫ টাকা দিয়ে চাল, ২’শ টাকা দিয়ে ৩০ কেজি করে চালসহ সাধারন মানুষের জন্য ১৮ প্রকার ভাতা দিচ্ছে। টিসিবি পণ্য, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদানসহ প্রতি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ উপকারভোগী। এসব দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা আওয়ামীলীগ-বিএনপি বাছাই করিনি।’
‘যার প্রয়োজন তাকেই উপকারভোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে ভাতা দেব, বিনামূল্যে বই দেব, বিনামূল্যে চাল দেব, রাস্তা-ঘাট বানাব, মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দেব তাহলে আমরা কি ভোট টা পাব না?’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পিছিয়ে পড়া জনপদ ছিল, ২০০৮ সালের আগে এ উপজেলায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ছাড়া আর কোন রাস্তায় পিচঢালা করা ছিলনা, আর এখন রাঙ্গুনিয়ার কোনো সড়কটি পিচঢালা কার্পেটিং করা হয়নি সেটা খোঁজ নিতে হয়। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে আমি যাই, রাস্তায় কোন গর্ত হয়েছে কিনা দেখতে। এসব উন্নয়ন ও পরিবর্তন সম্ভবপর হয়েছে শেখ হাসিনার যাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।’
নিজের ইউনিয়ন পদুয়া প্রত্যন্ত জনপদ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন পদুয়া একটি আধুনিক জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। শিলক খালের উপর চারটি ব্রীজ হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এমন কোন স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ নেই যেখানে ভবন হয়নি। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। গত ১৫টি বছর কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কিংবা কে কোন দল করে, তা কখনো দেখিনি। আমার বিরুদ্ধে ধানের শীষের মাইকিং করেছে, এমন ছেলের চাকরিও আমার হাত দিয়ে হয়েছে। আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি গত ১৫টি বছর চাকরের মতো করে খেটেছি।’
নিজ গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে ঠেলে তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে, প্রধানমন্ত্রী আমাকে টেনে তুলে নিয়েছেন। আমি আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করেছি দেশের মধ্যে। আপনাদের সন্তান হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও সে ধারাবাহিকতা রক্ষার আবেদন জানাই। আমাদের ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর, বেদারুল আলম চৌধূরী বেদার, আব্দুল মোনাফ সিকদার, শামসুল আলম তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বাদশা, নুরুল আবছার তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, মুজিবুল ইসলাম সরফি, আরজু সিকদার ও শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
সারাবাংলা/আইসি/একে