‘ফের জয়ী হলে গ্যাস সমস্যা মিটবে, বাড়বে ভাতা ভোগীর সংখ্যা’
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:১০
রূপগঞ্জ থেকে ফিরে: নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ছয় দিন। জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিটি আসনের প্রার্থীরা। ভোটারদের কাছে টানতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। কেউ বলছেন বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন; কেউ বলছেন গ্যাস, বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি নগর উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখবেন। সেইসঙ্গে বাড়ানো হবে ভাতাভোগীর সংখ্যাও।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের রূপগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনি গণসংযোগে প্রার্থীদের এসব প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গেছে। দেখা যায়, কাক ডাকা ভোরেই নেতাকর্মীরা এসে হাজির হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতীক) বাসায়। উদ্দেশ্য নেতার সঙ্গে নামবেন জনসংযোগে। বেলা বাড়তেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে পড়েন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। উপজেলার ভুলতা, গাউসিয়া এলাকার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেন। প্রতিশ্রুতি দেন নির্বাচনে আরেকবার জয়ী হলে এলাকার অসমাপ্ত কাজ শেষ করবেন।
তিনি বলেন, ‘ফের জয়ী হলে রূপগঞ্জের যত সরু রাস্তা আছে তা প্রশস্ত করা হবে। গ্যাস বিদ্যুতের যে সমস্যা রয়েছে তার সমাধান করা হবে। বাড়ানো হবে ভাতাভোগীদের সংখ্যা। সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিতে থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করব।’
রোববার রূপগঞ্জের ভুলতা, গাউসিয়া, পূর্বগ্রাম, মুড়াপাড়া, ইছাখালী, রূপসা, বরপা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো এলাকা জুড়ে নির্বাচনি আমেজ। প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে প্রতিটি এলাকা। বিভিন্ন সড়কে নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। জয়বাংলা স্লোগানে মুখরিত রূপগঞ্জের অলি-গলি। এই মিছিলে পিছিয়ে নেই নারী কর্মীরাও। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন দলবেঁধে। আবার কেউ কেউ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে ভোট চাচ্ছেন স্লোগানে স্লোগানে।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে এবার নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নয়জন প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে ভালো অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপি মনোনীত দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি লড়ছেন সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে। এছাড়া কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ভূঁইয়াও মাঠে রয়েছেন।
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে রূপগঞ্জে ত্রিমুখী লড়াই হবে। এতে সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে সমর্থনের পাল্লাটাই ভারী। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এ এলাকায়। বরপা এলাকার ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা। এখন তা নেই।’ একই কথা বললেন স্কুল শিক্ষক কবীর আহমেদ। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাট উন্নয়নের ফলে এক ঘণ্টাতেই রাজধানী ঢাকার নাগাল পাওয়া যাচ্ছে। এটা অবিস্মরণীয়।
কয়েক ঘণ্টার ঘোরাঘুরিতে দেখা গেল, নয় প্রার্থীর মধ্যে নৌকার প্রার্থীই সরব বেশি। এছাড়া ব্যানার-পোস্টার দেখা গেলেও গণসংযোগে দেখা যায়নি তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারকে। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলামকে প্রচারে দেখা গেলেও জনসমাগম ছিল একেবারেই কম। তিনিও ভোটারদের আশ্বস্ত করছেন তাদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম
গোলাম দস্তগীর গাজী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী