নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা
১ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৪৯
যাত্রা শুরু করেছে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৪। পুরনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি ভুলে সাফল্যগুলো কুড়িয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ এই নতুন বছর। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় থাকা বাংলাদেশ এই বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক— এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। অন্যদিকে বর্ষবরণের ক্ষণ উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণের সোপান রচনার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। বিদায়ী বছরের শেষ দিন রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দেওয়া বাণীতে তারা দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ নতুন স্বপ্ন, নতুন অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। তাই তো নববর্ষকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশও প্রস্তুত। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিষ্টাব্দ তাই আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দের সমাহার নিয়ে আমাদের জীবনে নববর্ষের আগমন ঘটে। তাই বিগত দিনের ভুল-ভ্রান্তি, ব্যর্থতা ও হতাশাকে দূরে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন ও ইতিবাচক পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। করোনা অতিমারি ও বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের ফলে বাংলাদেশেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। আমাদের আশপাশের অনেক মানুষই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। নববর্ষে আমরা একে অন্যের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই— এই হোক খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৪-এর প্রত্যাশা।
একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয়, সেদিকেও খেয়াল রেখে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক খ্রিষ্টীয় নববর্ষে— এই প্রত্যাশা করেন তিনি। বলেন, নববর্ষ সবার মাঝে জাগিয়ে তোলে নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ।
এদিকে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমরা যে সময়কে পেছনে ফেলে নতুন দিনের আলোয় উদ্ভাসিত হতে যাচ্ছি, সে সময়ের যাবতীয় অর্জন আমাদের সম্মুখ যাত্রার শক্তিশালী সোপান হিসেবে কাজ করছে। তাই নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণের সোপান রচনা করার অনুপ্রেরণা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক, সব সংকট দূর হোক, সব সংকীর্ণতা পরাভূত হোক এবং সবার জীবনে আসুক অনাবিল সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি— এই প্রার্থনা করি।
বাণীতে সদ্য বিদায় নেওয়া ২০২৩ সালকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের স্বর্ণযুগ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথাও তিনি তুলে ধরেন।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আসুন, আমরা মানুষের সার্বিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি, অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিহত করে মানুষের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করি এবং সর্বোপরি গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলি। বাসস
সারাবাংলা/টিআর
খ্রিষ্টীয় নববর্ষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাগত ২০২৪