‘যেকোনো সময় লন্ডভন্ড হবে নির্বাচনি মঞ্চ’
১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৭
ঢাকা: ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ভোটের মাঠে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েও এবার আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। যেকোনো সময় আন্দোলনের ঝড়ে লন্ডভন্ড হবে ‘ডামি’ নির্বাচনি মঞ্চ। কারণ জনগণ এরই মধ্যে ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সাথে প্রতারণা করে গত ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে আছে। দেশের গণতন্ত্র হত্যা ও জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। গুম-খুন চালিয়ে দেশের অসংখ্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীদের হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। আগামী ৭ তারিখ দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করে ঘরে ফিরবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
ভোটারদের উদ্দেশে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আগামী ৭ তারিখ আপনার একটি সঠিক সিদ্ধান্তে দেশ ও জাতি এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্তি পাবে। আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করুন এবং ৭ তারিখ সারাদিন পরিবারকে সময় দিন।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। যেকোনো সময় পালাতে বাধ্য হবে। আগামী ৭ তারিখ জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে এই পাতানো নির্বাচন প্রতিহত করবে। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতির শুরুটা হয়েছিল ব্যাংক লুট, হত্যা, ধর্ষণ ও বাকশাল দিয়ে। আওয়ামী লীগকে মনে রাখতে হবে, এই দেশ অলি-আউলিয়া, মুসলিম উম্মার দেশ। এ দেশের মাটিতে আঘাত করলে আকাশ কেঁপে ওঠে। সুতরাং বেশি ক্ষমতা দেখালে পরিণতি ভয়াবহ হবে।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, কাজী মো. নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, আব্দুল হাই নোমান, মো. ফরিদ উদ্দিন, নিলি চৌধুরী,গোলাম মুর্তুজা মানিক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ইসলাম বাংলাদেশের মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মো. লিটন, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, ইসলামী ঐক্য জোটের, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, জনি নন্দী, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার,ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ