ঢাকা-৭ আসনে নির্বাচন করতে পারবেন না মানিক
২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৭
ঢাকা: ঢাকা–৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিককে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের করার জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে মানিক আর নির্বাচন করতে পারছেন না।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইদ্রিস বেপারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। হাসিবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক ঢাকা-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র গত ৪ ডিসেম্বর বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে এর বিরুদ্ধে তিনি ইসিতে আপিল করেন। যা ১৪ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তা খারিজ করে। এরপর রিট খারিজ হওয়ার তথ্য গোপন রেখে আরেকটি বেঞ্চে রিট দায়ের করলে আদালত তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে মানিকের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়।
হাইকোর্টের এক বেঞ্চের আদেশ গোপন করে অপর বেঞ্চ থেকে আদেশ নেওয়ার ঘটনায় তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অপর প্রার্থী ইদ্রিস আলীও প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করে।
এরপর গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিকের প্রার্থিতা বাতিলে আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এক বেঞ্চের আদেশ গোপন করে অপর বেঞ্চ থেকে আদেশ নেওয়ার ঘটনায় তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অপর প্রার্থী ইদ্রিস আলীও প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করে।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ জানান, হাসিবুর রহমান এর আগে হাইকোর্টের আরেক বেঞ্চে রিট আবেদন করেছিলেন। সেই বেঞ্চ তার রিট খারিজ করে দেন। সেই তথ্য গোপন করে নতুন করে হাইকোর্টে রিট করেন। এটা হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী বেআইনি। এ কারণে তার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ