‘বিরোধী দলবিহীন ডামি নির্বাচন কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না’
২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:১৮
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘আমি ও ডামির নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমি ও ডামির নির্বাচন করছে। ৬২টি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে। জনগণও ভোটকেন্দ্রে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু জনগণকে ভোটকেন্দ্র নেওয়ার জন্য আওয়ামী ভয় দেখাচ্ছে। এনআইডি কার্ড ও ভাতা সুবিধা বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। বিরোধী দলবিহীন ডামি নির্বাচন দেশ-বিদেশের কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাইটিংগেল মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শুরু করে গণঅধিকার পরিষদ।
পথসভায় রাশেদ খান বলেন, এরই মধ্যে আমেরিকার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। তাদের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল সংলাপ, সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। বরং জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছাড় দিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, গতকাল জি এম কাদের (জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান) বলেছেন, তাদের কোনো আসন ছাড় দেওয়া হয়নি। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আসন ছাড়ের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তাহলে কে মিথ্যা বলেছেন? ক্ষমতার অংশীদার হতে জি এম কাদের লাজ-লজ্জার মাথা খেয়েছেন।
রাশেদ বলেন, বিভিন্ন দেশে একতরফা নির্বাচন হওয়ায় শতাধিক এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। বাংলাদেশে একতরফা ডামি নির্বাচন হলে এখানেও ৩০০ এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। মার্কিন সরকার অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও তৈরি পোশাক খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে তার ভুক্তভোগী হবে দেশের জনগণ। সুতরাং সরকারকে বলব, দেশ ও জনগণের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকলেও একতরফা নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিন। এখনো সময় আছে, বিরোধী দলগুলোকে ডাকুন, বসুন, আলোচনা করুন। নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করুন। আমরাও ভোটকেন্দ্র যেতে চাই, নির্বাচন করতে চাই, ভোট দিতে চাই। একতরফা নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না।
পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, দেশবরেণ্য অর্থনীতিবীদ নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে সরকার ব্যক্তিগত আক্রোশের মাধ্যমে মিথ্যা রায়ে ছয় মাসের সাজা দিয়েছে। এতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের রায়কে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিহিংসার রায় বলে প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টই বুঝতে পারছে, শেখ হাসিনা সরকার আদালতকে নির্দেশনা দিয়ে এই রায়ের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও শাকিল উজ্জামান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর