ফের মাস্ক পরার সুপারিশ করোনার জাতীয় পরামর্শক কমিটির
৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৬
ঢাকা: করোনা বাড়ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়ে সতর্কবার্তাও দিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। এবারে বাংলাদেশেও করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। করোনা বাড়ার কারণে ফের সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছে কমিটি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৬৫তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ পরিস্থিতি, নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ফের মাস্ক পরাসহ আরও পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
সভায় করোনর সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী, নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বলা হয়, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে, যার কারণ করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১। আর এই ওমিক্রনই ছিল করোনার সবচাইতে সংক্রমণক্ষমতা শেষ ভ্যারিয়েন্ট।
কমিটি সভায় আলোচনা করে জানায়, সংক্রমণ বাড়লেও আমাদের দেশে এখনও এই ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়নি। এর প্রেক্ষিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মাস্ক পরাসহ করোনা প্রতিরোধে অন্যান্য জনস্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও মতামত দেন।
বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল, অন্য চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য আলাদা সতর্কবার্তা দিয়ে কমিটি বলছে, এসব জায়গায় যারা অন্য রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক তাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
কমিটি মনে করে কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে এটা সহায়ক হবে।
সেইসঙ্গে সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক রিপোর্ট পর্যালোচনা ও দেশে সার্ভিলেন্স জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়।
ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে করোনা পরীক্ষা ও আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সকল প্রস্তুতি রাখার সুপারিশ করা হয় এবং বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং এর প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
কমিটি করোনার টিকার নিয়ে বিষয়ে নিয়মিত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
সভায় সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার আগে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে এবং করোনার লক্ষণ, উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এমও