রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে: জনগণকে আন্দোলিত করে দেশ থেকে ভূমিদস্যুদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। একইসঙ্গে ভূমিদস্যুদের সহযোগী তিন প্রার্থীদের ভোট কেনা রুখে দিতে রূপগঞ্জের জনগণকে পাহাড়া দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘ভূমিদস্যুদের রুখে দিতে জনগণকে আন্দোলিত করছি। বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালিদের আন্দোলিত করেই যুদ্ধে নিয়ে গিয়েছিল, যুদ্ধ করেই যেভাবে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। এমনভাবেই জনগণকে আন্দোলিত করব যাতে আগামীতে এই দেশ থেকে ভূমিদস্যুদের চিহ্ন মুছে যায়।’

গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, ছবি: সারাবাংলা
তিনি বলেন, ‘তারা (ভূমিদস্যু) উঠেপড়ে লেগেছে। আজকে শুনেছি তারা ১৫ কোটি টাকা ছেড়েছে। এই টাকা দিয়ে ভোট কিনবেন তারা। কারণ, তারা দেখেছেন তাদের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাচ্ছে। অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেলে তারা ডুকতে (রূপগঞ্জে) পারবে না। কালকে আবার ১৫ কোটি টাকা ছাড়বে। টাকা ছেড়ে তারা ভোট কিনবে। জনগণকে বলেছি তোমরা এগুলো পাহাড়া দেবে, যাতে করে তারা ভোট কিনতে না পারে। ভোট কেনা বেআইনি কারবার, রূপগঞ্জের জনগণ ভোট কেনা প্রতিহত করে দেবে।’
অপর তিন প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো একেবারে মিথ্যা কথা। তারা একটা সিন্ডিকেট। ওই ভূমিদস্যুরা এখানে সিন্ডিকেট করেছে। সবাই ভূমিদস্যুর কাছ থেকে অর্থ নিচ্ছেন, তারা হলেন— লাঙল, সোনালী আঁশ ও কেটলি মার্কা। ভূমিদস্যুরা এদের অর্থায়ন করছেন। অর্থ দাতারা এই তিনজনকে একত্রিত করে এসপি ও ওসির নামে প্রতিবাদ দিয়েছে।’
গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, ‘তিনজন প্রার্থী মিলে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। তিনজন মিলে হুমকি দিচ্ছেন যাতে প্রশাসন তাদের কথামতো চলে। এখন যদি কাউকে প্রত্যাহার করা হয়, নতুন লোক এসে তো নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে না। অনাস্থা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন তারা। তাদের নিজেদের কোনো শক্তি নেই, ভোট নেই, শুধু অর্থকড়ি আছে। অর্থকড়ি ও নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে নির্বাচকে বিপথে পরিচালনার চেষ্টা করছে।’