Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পঞ্চগড়ে ৫ দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৯

পঞ্চগড়: জেলায় গত পাঁচদিন ঘরে দেখা মিলছে না সূর্যের। পৌষের শেষেই ঝরছে মাঘের শীত। তীব্র শীতের প্রকোপে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনভর হিমেল বাতাসের সঙ্গে রয়েছে কুয়াশা। দুর্ভোগে নাজেহাল পরিস্থিতিতে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়। এ অঞ্চলে হিমালয়ের পাদদেশ কাছে হওয়ায় শীতের প্রকোপ বেশি হয়।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচদিন ধরে মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। কুয়াশার কারণে ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও নিম্নমুখী। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর-পশ্চিমের হিমেল হাওয়ার ঠাণ্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানান শ্রমজীবীরা। দৈনন্দিন রোজগার কমে যাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই শীত উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে দেখা গেছে তাদের। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠাণ্ডার প্রকোপের কারণে কাজ করতে পারছেন না। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় মিলছে না শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।

এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে। সন্ধ্যার পর আবার ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কোলাহলহীন হয়ে পড়ে শহর ও গ্রামেরও হাটবাজারগুলো। বাজারগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় কাগজের কাটন, টায়ার ও কাগজে আগুন ধরিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

সারাবাংলা/এমও

পঞ্চগড়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর