‘দূতাবাসকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি প্রবাসী সেল গঠন করব’
১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৪৩
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদের মন্ত্রিসভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। সিলেট-২ আসনের এই সংসদ সদস্য ১৯৬৯ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। সত্তরের দশকে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেশে ফিরে ২০০৮ সালে সিলেট-২ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের সঙ্গে বঙ্গভবনে শপথ নেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। পরদিন শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে তার সঙ্গে কথা বলেন সারাবাংলার সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সৈকত ভৌমিক। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ভবিষ্যত দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। সেই কথপোকথনের উল্লেখযোগ্য অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
সারাবাংলা: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় আপনাকে সারাবাংলা ডটনেটের পক্ষ থেকে জানাই অভিনন্দন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী: আপনাদেরও জানাই ধন্যবাদ। একইসঙ্গে সারাবাংলা ডটনেটের পাঠক, দর্শকদেরও জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
সারাবাংলা: প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কী করতে চান?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: প্রথমেই স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আমাকে মন্ত্রিসভার সদস্য করার জন্য নিজের ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অবশ্যই নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তকে আমি ও আমার এলাকার মানুষ স্বাগত জানাই। তার সিদ্ধান্তের বাইরে আমি এক ইঞ্চিও যেতে রাজি না।
আমাকে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা মানুষের কল্যাণের জন্য। পাশাপাশি বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, প্রবাসীদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা, তাদের সহায় সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমি কাজ করে যাব। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। তারা যেন বাংলাদেশে সহজে বিনিয়োগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও আমি করার চেষ্টা করব।
সারাবাংলা: বাংলাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স, যা পুরোপুরি প্রবাসীদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু আমাদের শ্রমবাজার খুব একটা বাড়ছে না। বরং মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন শ্রমবাজার সংকুচিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ নানা দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথাও শুনে আসছি। এগুলোকে কতটা চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: অবশ্যই এগুলো বড় চ্যালেঞ্জ। তবে যেকোনো বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলে পরে সফলতা আনাটাও সহজ হয়। সে হিসাবে আমি মনে করি প্রতিটি কাজেই চ্যালেঞ্জ আছে। আবার প্রতিটি কাজ যদি সফলতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করা যায়, তাহলে কাজে সফলতাও আসে।
সারাবাংলা: প্রবাসে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। ফলে প্রবাসীদের মধ্যেও আপনার জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই জনপ্রিয়তা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনার কোনো কাজে লাগবে বলে মনে করেন?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: আমার আব্বাও প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন। নানা জনকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমার ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নানাভাবে কাজ করেছেন। সে হিসাবে প্রবাসীদের সঙ্গে আমাদের একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে। আমি নিজেও ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রবাসে ছিলাম। সেখানে প্রবাসীদের নানা সমস্যা দেখেছি। কারও পাসপোর্টের সমস্যা, আবার কারও ভিসার সমস্যা, ইমিগ্রেশনের সমস্যা, কাস্টমসসহ আরও অনেক ধরনের সমস্যা ছিল। এগুলো আমি নিজেই দেখেছি। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা নিশ্চয় আমাকে সহায়তা করবে।
একটি কথা বলতে হয়, বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রবাসী বাঙালিদের বন্ধু। বঙ্গবন্ধুকেও প্রবাসীরা বন্ধু হিসেবে ভাবতেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন যে প্রবাসীরা আমার দুর্দিনের বন্ধু। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে যখন কারাবরণ করতে হয় সেই সময় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে লন্ডন থেকে স্যার উইলিয়ান থমাসকে পাঠানো হয়েছিল। এরপরে সত্তরের নির্বাচনে প্রবাসীরা অনুদান পাঠায় দেশে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে প্রবাসীরা আন্দোলন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। জাতির জনককে হত্যার পরে যারা বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে দিতে চেয়েছিল, তারা সফল হতে পারেনি। এটা আমাদের সৌভাগ্য।
বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বেঁচে ছিলেন বলেই আজ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আমরা মনে করি, শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ, বাংলাদেশের মানুষেরা নিরাপদ। মানুষও এমন মনে করে বলেই ভোট দিয়ে পঞ্চমবারের মতো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে।
সারাবাংলা: দীর্ঘ সময় ধরে আছেন রাজনীতির মাঠে। এলাকায় আপনি ২৪ ঘণ্টার রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচন ও এলাকার রাজনীতি নিয়ে কিছু বলবেন?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালেও মনোনয়ন পেয়েছিলাম। কিন্তু জোটের রাজনীতির কারণে আমাকে সরে দাঁড়াতে হয়। ২০১৮ সালেও একই পরিস্থিতি হয়। এবার প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন আমাদের এলাকার অবস্থা। সারাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠলেও আমরা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আমাদের এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে এবারও মনোনয়ন দেন।
আমি মনোনয়ন পাওয়ার পর এলাকার মানুষ যেভাবে আনন্দ-উল্লাস করেছে তা ছিল অভূতপূর্ব। তারা সবাই হলো ‘নিজের খাইয়া নৌকা।’ নির্বাচনে আমাদের অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়। আরও অনেক দলের প্রার্থী ছিল। সবাইকে হারিয়ে আমার এলাকার ভোটাররা নৌকা মার্কাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে। আমি মনে করি এটা আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষের বিজয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয়।
সারাবাংলা: নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দেশকে আমরা নানা ইস্যুতে কথা বলতে দেখেছি। বিদেশি হস্তক্ষেপ থাকলে তা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাজে আপনার জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: তেমন কিছু হলে আমরা শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবো। এখানে অন্য কিছুর প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমরা নেত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, ভবিষ্যতেও কাজ করে যাব। অতীতেও নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেগুলো নেত্রী নিজের প্রজ্ঞা দিয়ে মোকাবিলা করেছেন। আবারও ষড়যন্ত্র হলে একইভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।
সারাবাংলা: প্রবাসীদের পাসপোর্ট, ভিসা সমস্যার পাশাপাশি নানা সময় নির্যাতনের সংবাদও আসে। সেগুলো সমাধানের বিষয়ে কিছু ভেবেছেন?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: আমার প্রবাসী সেল গঠন করার চিন্তাভাবনা আছে। এর পাশাপাশি হাইকমিশন বা দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগিয়ে প্রবাসীদের সব ধরনের সমস্যা যতটাসম্ভব সমাধানের চেষ্টা করব।
সারাবাংলা: ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে একটি প্রশ্ন করি। প্রবাসে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটিয়েছেন। সেই জীবন রেখে বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর এলাকার রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পড়লেন কেন?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: এটা আমার জন্য এক রকম চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি কিন্তু প্রতিটি নির্বাচনেই দেশে আসতাম। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমি নৌকার প্রার্থী শ্রদ্ধেয় আজিজ ভাইয়ের (শাহ আজিজুর রহমান) সদস্য সচিব হিসেবে নির্বাচনের কাজ করি। ভোট শেষে এক সপ্তাহ পর আমি লন্ডন যাই। এরপর হামলা চালিয়ে আমার বাসা ভাঙচুর করা হয়। আমার নামে নানা ধরনের মামলা দেওয়া হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে শাহজালালের (রহ.) মাজারে গ্রেনেড হামলা হয়। সে দিন আমি আমার সহযোদ্ধারাসহ বিমানবন্দরে ছিলাম। পরিকল্পনা ছিল, নামাজ পড়ে ফ্লাইটে উঠব। এমন সময় মাজারে গ্রেনেড হামলার খবর আসে। ওই সময় লন্ডন যাওয়ার পরে আবারও মামলা দেওয়া হয় আমার নামে। গ্রেনেড হামলার মামলাতেও আমার নাম দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মুন্সী আতিক নামের একজন তদন্ত কর্মকর্তা লন্ডন গিয়ে তদন্তও করেন। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি রাজনীতির দিকে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ি।
২০০৪ সালের জুলাইয়ে নেত্রী (শেখ হাসিনা) চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি দেন। সেখানে আমি গিয়েছিলাম। সেখানেই তার সঙ্গে আলোচনা হয়। সময়ে নেত্রী বললেন, ‘তুমি এসেছ, ভালো হয়েছে। তোমরা সিলেটেও নাই, আর বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ নিয়ে কেউ কথাও বলে না।’
তখনই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম— বেঁচে থাকি আর না থাকি— দেশে ফিরব, মানুষের জন্য কাজ করব। তখনই আমি আপাকে জানাই, আমি আগস্ট মাসে দেশে ফিরব। একইসঙ্গে বলি, দেশে ফিরে আমি বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর-বালাগঞ্জে ১৫ আগস্টে শোক সভা পালন করার প্রস্তুতি নেব। সিলেটেই আমি থাকব। তখন নেত্রী আমাকে বলেন, ‘তুমি কিন্তু আমার জন্য আরেকটা বিপদ ডেকে আনছ।’ তখন আমি বলি, ‘না, আপনার জন্য কোনো বিপদ আসবে না। মরতে হলে আমিই দেশে গিয়ে মরব।’
এরপর আমার পরিবারের সদস্যদের এক করে তাদের সঙ্গে কথা বলি। আমি তাদের বলি, ‘তোমরা আমাকে মাইনাস করে দাও। আমি দেশে চলে যাবো।’ এরপর থেকেই আমি সিলেটে। এখানে আসার পর আবার শুরু হয় নতুন চ্যালেঞ্জ। বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী আমাদের নেত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, নেত্রীও নাকি সিলেটে তার (ইলিয়াস আলী) বিরুদ্ধে জিততে পারবেন না। আমি তখন বলি, ‘আমার নেত্রীর দরকার নাই, নেত্রীর কর্মী হিসেবে আমিই তোমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম।’ সেই চ্যালেঞ্জে আমি পাস করি ভালোভাবেই। এরপর তো সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি।
সারাবাংলা: বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরে আপনি ২৪ ঘণ্টার রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর এলাকাবাসীর জন্য সময় কিছুটা কমে যাবে বলে মনে করেন?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: হ্যাঁ, কিছুটা সময় তো কমবেই। আমি যখন সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সভাপতির দায়িত্ব পাই, তখনই এলাকার মানুষদের বলেছিলাম, আগের চেয়ে কিছুটা সময় কম দিতে পারব। বলেছি, তোমরা আমাকে আগের মতো বেশি পাবে না। তবু রাত ১২টা বাজুক বা রাত দেড়টা, দেখতাম মানুষ আমার জন্য অপেক্ষা করছে। রাত পোহালে সকাল ৮টা থেকেই মানুষ চলে আসত বাসায়। দীর্ঘদিন আমাদের এমপি না থাকায় নানা সমস্যা ছিল। মানুষও তাই আমার কাছে আসত সমস্যা সমাধানের জন্য। মানুষের পাশে থাকতেই আমার ভালো লাগে।
সারাবাংলা: এখন তো আপনার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না?
শফিকুর রহমান চৌধুরী: অবশ্যই। তবে আমি তাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাব।
সারাবাংলা: সময় দেওয়ার জন্য সারাবাংলা ডটনেটের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
শফিকুর রহমান চৌধুরী: সারাবাংলা এবং সারাবাংলার পাঠক-দর্শকদেরও ধন্যবাদ।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বৈদেশি কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শফিকুর রহমান চৌধুরী সাক্ষাৎকার