Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এভাবে চলতে থাকলে আমরা আনসিভিলাইজড বলে পরিচিত হব: হাইকোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০০

ঢাকা: বাবার জানাজায় আসামির ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় উপস্থিত হওয়ার ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছেন হাইকোর্ট। বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড (অসভ্য) হিসেবে পরিচিত হব।

‘বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদলের নেতা’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কারাবন্দি ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধার বাবা মারা গেলে তাকে বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় তাকে বাবার জানাজায় অংশ নিতে হয়। রোববার একাধিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তখন আদালত বলেন, ‘আমরা দেখেছি।’ তখন কায়সার কামাল বলেন, ‘একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাষ্ট্র দিন দিন নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করছে।’

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘চাইলে আগের রিটে (যশোরে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে) সম্পূরক আবেদন দিতে পারেন। চাইলে নতুন করে আবেদন নিয়েও আসতে পারেন।’ এরই একপর্যায়ে আদালত মন্তব্য করেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড (অসভ্য) হিসেবে পরিচিত হব।

এ সময় আদালতে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

পরে এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এসেছে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ছাত্রদল এক নেতা তার বাবার জানাজা পড়েছে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায়। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বর্তমানে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে যে মামলা আছে সে মামলায় ঘটনাটি অন্তর্ভুক্ত করতে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। অথবা এ বিষয়ে আলাদা একটি আবেদন করতে বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

কায়সার কামাল আরও বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি, রাষ্ট্র ক্রমান্বয়ে তার নাগরিকদের প্রতি হিংস্র আচরণ করছে এবং দিন দিন এটা বেড়েই চলেছে। এ কারণে এর সেটেলমেন্ট হওয়া দরকার। আমরা আরও বলেছি, দেশের ভাবর্মূর্তি বহির্বিশ্বে খারাপ হচ্ছে। কারণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এগুলো আসছে যে জানাজা পড়তে গেলেও ডান্ডাবেড়ি পরানো হচ্ছে। সব কিছু বিবেচনা করে আদালত আমাদের একটি আবেদন করতে বলেছেন। পটুয়াখালীর ওই ঘটনা নিয়ে চলতি সপ্তাহে নতুন করে রিট আবেদন করা হবে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে যশোরের যুবদল নেতা মো. আমিনুর রহমানকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তার স্ত্রী নাহিদ সুলতানা। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ওই রুল এখন চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

ডান্ডাবেড়ি হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর