‘প্যারিস খাল পরিষ্কার ও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু শুক্রবার’
৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩০
ঢাকা: আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে মিরপুরের প্যারিস খাল পরিষ্কার ও উদ্ধার কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকালে আমি সশরীরে উপস্থিত থেকে প্যারিস খাল পরিষ্কার অভিযান শুরু করব। সিটি করপোরেশনের কর্মী, বিডি ক্লিনের স্বেচ্ছাসেবী এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে এই খাল পরিষ্কার করব। ময়লা ও দখলমুক্ত করে মিরপুর প্যারিস খাল আগের রূপে ফেরানো হবে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মিরপুরের প্যারিস খাল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, আমি আজ মিরপুর প্যারিস খালের ওপরে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি খাল। অথচ একসময় এই প্যারিস খাল দিয়ে নৌকা চলতো, এই খালে মানুষ সাঁতার কাটতো। সবাই নির্বিচারে ময়লা ফেলে খাল ভরাট করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, এই এলাকার বাড়িঘর ডুবে যায়। কারণ এই খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে না। ময়লা ফেলে খাল ধ্বংস করে ফেলেছে। অথচ এই এলাকার মানুষই অভিযোগ করছে জলাবদ্ধতার বিষয়ে। ঐতিহ্যবাহী এই প্যারিস খাল পুনরুদ্ধারে আমি এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
মেয়র আতিক বলেন, প্যারিস খালের প্রস্থ ৪০ ফুট হলেও কোনো কোনো জায়গায় ১৮ ফুট, ১৫ ফুট। কোথাও কোথাও এখন ১০-১১ ফুট অবশিষ্ট আছে। এতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা খুব প্রয়োজন। যখন মেশিন আসবে, তখন তাদের নানান বিপত্তিতে পড়তে হবে। খাল দখল কোনো সমাধান না। উচ্ছেদ করা ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই। যারা এখানে বসবাস করেন, তাদের চলে যেতে হবে। কারণ ভাঙা শুরু করলে থাকার কোনো অবস্থা থাকবে না। খাল পরিষ্কার থাকলে রোগবালাই কম হবে। মশার প্রজনন কমে যাবে, দুর্গন্ধ থাকবে না। আপনারাই ভাল থাকবেন। ময়লামুক্ত ও দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান ও উচ্ছেদ চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিদর্শনে এসে দেখলাম খালে অনেক বাঁশের সাঁকো, বিদ্যুতের সংযোগ, স্যুয়ারেজের সংযোগ। সবাইকে অনুরোধ করছি এগুলো সরিয়ে নেবেন।
দূষণকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, খাল পরিষ্কার করার পর আর কেউ ময়লা ফেলতে পারবেন না। খালের পাড়ে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেব। খালে ময়লা ফেললে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দখলদাররা নিজ দায়িত্বে দখলমুক্ত করে দেবেন। আমরা যখন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব তখন কিন্তু সময় পাবেন না।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ