Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের বাংলা একাডেমি পুরস্কার বাতিলের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৬

বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি করেন মনজুরুল ইসলাম মেঘ

ঢাকা: মেধাস্বত্ব চুরির অভিযোগ তুলে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ওরফে ড. জাহাঙ্গীর আলমের বাংলা একাডেমি পুরস্কার বাতিলের দাবি জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার মনজুরুল ইসলাম মেঘ।

বুধবার(৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানান তিনি। এরপর তিনি সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান এবং গণতন্ত্রী পার্টির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফুয়াদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। মনজুরুল ইসলাম বিলডাকিনি চিত্রনাট্যকার কপিরাইট প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।

মনজুরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আমি বাংলা একাডেমিতে স্মারকলিপি দেব এবং ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। এরপরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ১০ তারিখ থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাংলা একাডেমি ও বইমেলার সামনে লাগাতার আমরণ অনশন করব। যতক্ষণ না নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ওরফে ড. জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ততক্ষণ।

মেঘ বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘বিলডাকিনি’ চিত্রনাট্য আমার লেখা, অনুদানের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে এবং অনুদানপ্রাপ্ত চিত্রনাট্য আমার নামে কপিরাইট অধিদফতরে নিবন্ধিত হয়েছে। তারপরও চিত্রনাট্য চুরি করে অতিরিক্ত সচিব নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ওরফে ড. জাহাঙ্গীর আলম আংশিক পরিবর্তন করে আমার নাম বাদ দিয়ে নিজের নামে চালিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্র অনুদান প্রদান করা হয়। গেজেট নং ১৫.০০.০০০০.০৪১.২৪.০০১.২০.১৩৮। ওই গেজেট ঘোষণার আগে তৎকালীন তথ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি আমার সাক্ষাৎকার নিয়ে আমার নাম মনজুরুল ইসলাম পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গেজেটের সিরিয়াল নং-১৬ বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের পরিচালক মনজুরুল ইসলাম, আমি নিজে।
গেজেটে ঘোষিত বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও সংলাপ আমার রচিত। আমার লেখিত চিত্রনাট্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে এবং বাংলাদেশ কপিরাইট অধিদফতরে নিবন্ধিত হয়ে সনদ গ্রহণ করেছে। কপিরাইট নিবন্ধন নং সিআরএল-২৩৪৫৮।

মনজুরুল ইসলাম বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যম ড. জাহাঙ্গীর আলম তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের পরিচালকের পদ থেকে আমাকে অবৈধভাবে বঞ্চিত করে ওই গেজেটের সিরিয়াল নং-৩ এ উল্লেখিত ফজলুল কবীর তুহিনকে দিয়ে বিলডাকিনি ও গাংকুমারী নামে দুটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। যা চলচ্চিত্র অনুদান আইন বিরোধী, অসাংবিধানিক এবং রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধ। আইনত একই গেজেটের দুটি চলচ্চিত্র, একই ব্যক্তি পরিচালনা করতে পারেন না।

তিনি আরও বলেন, নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি অর্থ আত্নসাতের জন্য নিজের স্ত্রী খাতিজা বেগম মিতাকে বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের নির্বাহী প্রযোজক এবং তার ঘনিষ্ঠবন্ধু আব্দুল মমিন খানকে প্রযোজক বানিয়েছেন।

মঞ্জুরুল বলেন, নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর আমার থেকে চিত্রনাট্য নেওয়ার সময় বলেছিলেন একজন পেশাদার চলচ্চিত্র প্রযোজককে দিয়ে সিনেমা প্রযোজনা করাবেন। কিন্তু অনুদানের গেজেট প্রকাশের পর জানতে পারি তিনি আসলে চলচ্চিত্র প্রযোজক নন। আব্দুল মমিন খান চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাটা সলিউশন নামীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, যা চলচ্চিত্র অনুদান পাওয়ার অযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তারপরও অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে চলচ্চিত্র অনুদান হস্তগত করেছে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। যা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। অথচ নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরগং আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন। সৃজনশীল কাজ চুরির অভিযোগ যার নামে আছে, এমন ব্যক্তির হাতে বাংলা একাডেমির মতন প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার তুলে দেওয়া মানে দেশের প্রচলিত আইন ও ন্যায় বিচারে বাধা দেওয়ার শামিল।

নূরুদ্দিনের বাংলা একাডেমি পুরস্কার বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তির অনুরোধ জানান মঞ্জুরুল।

সারাবাংলা/ইউজে/এনইউ

টপ নিউজ দাবি নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর পুরস্কার বাতিল বাংলা একাডেমি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর