চরের ৪ জায়গায় পোঁতা ছিল লাশের ৯ টুকরা, আটক ৫
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫০
কুষ্টিয়া: নিখোঁজের দুই দিন পর কুষ্টিয়ার হরিপুর পদ্মা নদীর চরের চারটি জায়গা থেকে এক যুবকের লাশের নয় টুকরা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত পদ্মার চরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে চরের চার জায়াগায় পুঁতে রাখা লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, এই ঘটনায় নিহত মিলন হোসেনের (২৭) স্ত্রী মিম খাতুনের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) সূত্র ধরে মিলনের পাঁচ বন্ধুকে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে রাতভর পদ্মা নদীর চরে অভিযান চালায় পুলিশ।
নিহত মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরচর এলাকার মওলা বক্সের ছেলে। তিনি স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ জানান, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সহসভাপতি এস কে সজীব ও তার কয়েকজন সহযোগী গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে তাকে হাউজিং এলাকার একটি ছয়তলা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মিলনের কাছে মোটা অংকের টাকার দাবি করে। মিলন টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুমের জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিলনের লাশের নয় টুকরা করে পদ্মা নদীর চরের ছয় জায়গায় পুঁতে রাখে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় ওইদিনই রাতে মিলনের স্ত্রী মিম খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ সজিবসহ পাঁচজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় আটকৃতদের সঙ্গে নিয়ে পদ্মা নদীর চরে অভিযানে নামে পুলিশ। রাতভর খুঁজে না পেলেও সকাল ৮টার দিকে চারটি জায়গা থেকে মিলনের লাশের নয় টুকরা উদ্ধার করা হয়।
সারাবাংলা/এনইউ