Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভিড় হলেও বাড়েনি বিক্রি, খুদে পাঠকে প্রাণ পেয়েছে বইমেলা

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৮

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলার তৃতীয় দিনে বেড়েছে পাঠক-দর্শনার্থীর ভিড়। ছুটির দিন হওয়ায় ক্ষুদে পাঠকের আনাগোনাও ছিলো চোখে পড়ার মতো। তৃতীয় দিনে ভিড় বাড়লেও প্রকাশনীগুলোর দাবি, বাড়েনি আশানুরূপ বিক্রি।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই চিত্রের দেখা মেলে।

বইমেলা শুরুর প্রথম দু’দিনে ভিড় ছিলো না বললেই চলে। এই দু’দিন অনেকটা প্রাণহীন স্থবির ছিলো বইমেলা। বেশ অনেকগুলো স্টলের কাজ শেষ না হওয়াতে ‘অপ্রস্তুত’ বইমেলার চিহ্ন ছিলো প্রথম দুই দিনে। তবে শনিবার এই দৃশ্যে আসে পরিবর্তন।

শেষ বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের স্টলগুলোতে পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। স্টলগুলোতে বিক্রয়কর্মীদের গত দিনের চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

অন্বেষা প্রকাশনীর এক বিক্রয়কর্মী সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই দিনের তুলনায় পাঠক বেড়েছে। তুলনামূলক বয়স্ক পাঠকরাও আসা শুরু করেছেন। ব্যস্ততা বেড়েছে আমাদের।‘

তবে ভিড় বাড়লেও আশানুরূপ বিক্রয় বাড়েনি বলে দাবি করেছেন স্টলে কর্মরতরা। কয়েকটি স্টলের বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়—পাঠক বই উল্টে দেখছেন, তবে কিনছেন এমন পাঠকের সংখ্যা অপ্রতুল। দুই-একদিন পর থেকে বিক্রি ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা।

অ্যাডর্ন প্রকাশনীর একজন বিক্রয় কর্মী সারাবাংলাকে বলেন, ‘পাঠক অনেকে। তবে বিক্রি হচ্ছে কম। মনে হয়, দুই একদিন পর বিক্রয় বাড়বে।’

এদিকে, ছুটির দিন হওয়ায় খুদে পাঠকের আনোগাণায় মুখর বইমেলা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালী মন্দিরসংলগ্ন এলাকায় বরাদ্দপ্রাপ্ত শিশুচত্বর জুড়ে কচিকাঁচাদের সরব উপস্থিতি মেলার মাঝে প্রাণ সঞ্চারণ করেছে। স্টলের সামনে ভিড় করছেন খুদে পাঠকরা। বিভিন্ন রকমের বই উল্টে-পাল্টে দেখছেন তারা। তবে তাদের আগ্রহ বেশি রঙিন ও চিত্রভর্তি বইয়ে।

বাবার হাত ধরে মেলায় আসা তাসনুভা পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে। এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরে বইয়ের পাতা উল্টাতে দেখা যায় তাকে।
কথা বলতে যেন ইচ্ছুকই নয় সে। বাবা আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার। তিনি বলেন, ‘বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করানোটাই আমার উদ্দেশ্য। এতে আগ্রহ বাড়বে। বড় হলে নিজেই বুঝবে, বই কেন গুরুত্বপূর্ণ।’

এদিকে শিশুতোষ বইয়ের স্টলগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে হরেকরকম বই। ছোটদের সময় প্রকাশনীতে পাওয়া যাচ্ছে শাকিব হুসাইনের ‘রোবট এলো মেরিন গ্রহে’, মাহফুজুর রহমানের দশ সাহাবীর কাহিনী, হোমায়রা মোর্শেদের ‘এক যে ছিল সত্যি ভূত’।

ঝিলমিল প্রকাশনী বর্ণামালাকে নানা রঙে সাজিয়েছে এনেছে বই। শিশু কিশোর প্রকাশনে পাওয়া যাচ্ছে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের ‘সহজভাবে ছোদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা’, ও সজভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী, আলী ইমামের ছোটদের মহাকাশ ও বিজ্ঞান, ইউসুফ আহমেদের ‘ছোটদের গোয়েন্দা কাহিনী’, শিশুকানন প্রকাশনীতে পাওয়া যাচ্ছে প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা., আদিগন্ত প্রকাশনীতে গল্পগুলো ভয়ংকর ভূতের, ফুলকুড়ি প্রকাশনীতে ফারুক নাওয়াজের ‘সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ’সহ নানা বই।

ঘাসফড়িং প্রকাশনীতে আহসান হাবিবের ‘নীল ডাইনে ফাস্ট বয়’, ছোটদের স্কুলের গল্প, চিরন্তন প্রকাশনীতে পাওয়া যাচ্ছে সৌমেন সাহার ‘গল্পের অঙ্ক, অঙ্কের গল্প’।

সারাবাংলা/আরআইআর/এমও

খুদে পাঠক বইমেলা বইমেলা ২০২৪ বাংলা একাডেমি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর