মিয়ানমারে চলছে তীব্র যুদ্ধ, ঘুমধুমে স্কুল-মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৮
বান্দরবান: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অংশে আবারও তীব্র যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের এই লড়াইয়ের ঘটনায় বাংলাদেশের একজন নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ভয় আর আতংকে সীমান্তঘেঁষা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার রাতভর ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। এই ঘটনায় সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম ইউনিয়নের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমার ভিতরে গতরাত থেকেই প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলার সীমানার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু পশ্চিম অংশে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত রাত থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে।’
মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ শুরু হয় দেড় বছর আগে। ২০২২ সালে জুলাই থেকে শুরু হয়ে টানা ছয়মাস যুদ্ধ চলে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে। এরপর পরিস্থিতি ক্রমে আরকান আর্মির অনুকূলে আসতে থাকে। যুদ্ধে সামরিক বাহিনী পিছু হটছে বলে জানা গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা বলেন, ‘গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ভিতরে গোলাগুলির কারণে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইন জানান, সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা মিসকাতুন নবী দাখিল মাদরাসাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও